এনএফবি, কলকাতাঃ
সকালে বীরভূমের জেলা সভাপতির নাটকীয় গ্রেফতারির পর বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে দলের তরফে স্পষ্ট বার্তা পেশ করা হল । দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ দোষী নয় বললেন সমীর চক্রবর্তী। তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নিশানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থেকে বিরোধী দলনেতা।
এদিন, বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের তরফে স্পষ্ট বার্তা দিলেন তৃণমূলের শীর্ষ স্থানীয় নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য । বলেন, ”দুর্নীতিকে সমর্থন করে না তৃণমূল কংগ্রেস। কোনও অনৈতিক কাজকে সমর্থন করে না দল। দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স তৃণমূল কংগ্রেসের। কেউ মানুষ ঠকালে বা মানুষের ক্ষতি হয় এমন কাজ করলে তাঁর পাশে নেই দল।”
অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। এরপর কী ব্যবস্থা নিচ্ছে দল? প্রশ্ন করা হলে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং সমীর চক্রবর্তী বলেন,”দলের শৃঙ্খলা কমিটি রয়েছে। নেত্রী রয়েছেন। পুরো বিষয়টির দিকে নজর রাখা হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা সবে হয়েছে। যথাসময়ে জানানো হবে।” একইসঙ্গে বিএসএফ-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সমীর চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ”গ্রেফতার হলেই কেউ দোষী হয় না। গোরু তো পিঁপড়ে নয় যে অলক্ষ্যে সীমান্ত পেরিয়ে যাবে! প্রত্যেক সীমান্তে বিএসএফ থাকে। তারা কী করছিল? তাহলে তাদের কেন ডাকা হচ্ছে না? তাদের কেন ক্লিনচিট দেওয়া হল?
এ প্রসঙ্গে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যেরও নিশানায় বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ কেন্দ্রীয় সংস্থা। তিনি বলেন, ”একই অভিযোগে অভিযুক্ত বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হয় না। কেন্দ্রীয় শাসক দলের সঙ্গে কেউ যুক্ত হলে তাঁকে ডাকে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিজেপির কেউ হলে নিষ্ক্রিয় সিবিআই৷
আর তারই প্রতিবাদ জানাতে কাল ও পরশু দুপুর তিনটেয় ছাত্র ও যুব সংগঠন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবে তৃণমূল । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা প্রশ্নে জেলায় জেলায় প্রতিবাদ, মিছিল করবে রাজ্যের শাসক দল। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানালেন তৃণমূল নেত্রী তথা বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ৷