এনএফবি, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে যেতে বহু আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। দিনরাত জেরা করলে আজ হোক বা কাল সমস্ত তথ্য বেরাবেই। আর সেই তথ্য বেরিয়ে গেলে অনেকের বিপদ আছে। তাই তাকে আটকানোর চেষ্টা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রেল শহর খড়্গপুরে চা চক্রে যোগ দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি প্রথম মেদনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ দিলীপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইডির হেফাজতে সেই প্রসঙ্গ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন তিনি। অন্যদিকে বীরভূম জেলার নেতাদের মন্তব্য ধীরে ধীরে সব সমস্যা সমাধান হবে। আগামী দিনেও সাধারণ মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে থাকবে- সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন সাগরদিঘীতে কেন মানুষ সঙ্গে থাকল না। সেখানেও তো ওনাদের সঙ্গে থাকা উচিত ছিল সাধারণ মানুষের, পার্থ বাবু যেমন ভাবছে উনার সঙ্গে দল রয়েছে তেমন উনারা ভাবছে আমাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ রয়েছে।
অন্যদিকে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে সরকারি কর্মচারীরা। সেই বিষয় নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন সরকারি কর্মচারীরা তাদের অধিকারের জন্য লড়াই তো করবেই, আন্দোলন করা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিখিয়েছে, তার আনন্দ লগ্নে জন্ম বাকিদের তো সেরকম হতে পারে।
অন্যদিকে সরকারি কর্মচারীরা কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছে, সেই প্রসঙ্গ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ধমকিয়ে চমকিয়ে তাদের তো ঐক্য ভেঙে ফেলা যায় না। পশ্চিমবঙ্গ আন্দোলনের মাটি, এখানে আন্দোলন করে তারা ক্ষমতায় এসেছে, এখন সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনকে খর্ব করার চেষ্টা করা হচ্ছে, সমস্যা তো বাড়বেই, অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন আমার ক্ষমতা নেই আমি ডিএ দিতে পারব না, সেই প্রসঙ্গ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন তার জন্যই ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে এই আন্দোলন।
এখানে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই, প্রশাসনটাও ভেঙে পড়বে সাধারণ মানুষের কি হবে, অন্যদিকে রাজ্যে একাধিক জায়গায় বিপুল অংকের টাকার হদিশ ভুয়ো সংস্থার। সেই প্রসঙ্গ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বহু ভুয়ো সংস্থা গজিয়ে উঠেছে, যেভাবে প্রশাসন তৎপর হয়েছে আগামী দিনে ওই সংস্থাগুলি বন্ধ হবে।