বাগুইআটির জোড়া খুনের দুই সপ্তাহ পরেও অধরা মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র

এনএফবি, কলকাতাঃ

বাগুইআটি জোড়া খুনের দুই সপ্তাহ পরেও অধরা মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। দুই কিশোরকে খুনের মোটিভ ঘিরেও রয়েছে ধোঁয়াশা। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ নিহত কিশোর অতনু দে-র পরিবার ও প্রতিবেশীরা।

জানা গেছে, এই জোড়া খুনের তদন্ত করবে সিআইডি-র হোমিসাইড শাখা। সঙ্গে থাকবেন স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের অফিসাররা। নেতৃত্বে আইজি পদমর্যাদার অফিসার। যে গাড়িতে দুই কিশোর অতনু ও অভিষেককে খুন করা হয় বলে অভিযোগ, সেই গাড়ির আজ ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে। অন্যদিকে, বাগুইআটিকাণ্ডে আইসি কল্লোল ঘোষ ও তদন্তকারী অফিসার এসআই প্রীতম সিংকে সাসপেন্ড করার পর গতকাল বাগুইআটি থানার নতুন আইসি হলেন শান্তনু সরকার। গতকাল রাতেই তিনি দায়িত্বভার নেন। এর আগে এয়ারপোর্ট থানার আইসি ছিলেন শান্তনু সরকার। 

উল্লেখ্য, ২৫ অগাস্ট হাড়োয়ায় অভিষেকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তারপরে সেই দেহ উদ্ধারের কথা জানিয়ে থানায় বার্তা দেওয়া হয়। কিন্তু তার আগে, ২৩ অগাস্ট অতনুর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় অতনুর পচাগলা দেহ উদ্ধার হলেও চুপ ছিল বসিরহাট থানা ৷ কেন সেই কথা জানায়নি বসিরহাট থানা তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি অভিষেকের দেহ উদ্ধার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। হাড়োয়ায় ইট বাঁধা অবস্থায় অভিষেকের দেহ উদ্ধার হয়, সেখানে দেহ ভাসতে দেখা যায়। পরে দেখা যায় প্যান্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে সেই প্যান্টে ইঁট বেঁধে রাখা হয়েছিল। যাতে জলের তলায় যাতে ডুবে থাকে দেহ।এভাবে দেহ দেখেও কেন খুন বলে সন্দেহ হয়নি পুলিশের, তাই নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন ।

জোড়া খুন কান্ডে ধৃত ৩ জন রয়েছে পুলিশ হেফাজতে। ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারাসাত আদালত। ৫০ হাজার টাকা এবং বাইক কেনাই খুনের কারণ হতে পারেনা ৷ শুধু এগুলির জন্যই বাগুইআটির ২ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে খুন করা হয়েছে বলেই প্রশ্ন উঠেছে ।

পুলিশ সূত্রের খবর, ২২ অগাস্ট অপহরণের আগে ১৮ অগাস্ট নিউটাউনে গোপন বৈঠক করে অভিযুক্তরা। ধৃত অভিজিৎ, ভাড়াটে খুনিদের নিয়ে গোপন বৈঠক করে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র। সূত্রের খবর, ভাড়াটে খুনিদের টাকা দিয়ে সুপারিও দেয় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র। শুধু তাই নয়, ওই দুই ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের জন্য গাড়ি ভাড়াও করে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র।যে গাড়িতে দুই কিশোর অতনু ও অভিষেককে খুন করা হয় বলে অভিযোগ, সেই গাড়ির আজ ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে। ৫০ হাজার টাকার জন্যই খুন করতে চাইলে, তার জন্য কেন এত খরচ করল সত্যেন্দ্র তাই নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন ৷ আর এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছে তদন্তকারী অফিসাররা ৷