এনএফবি, স্পোর্টস ডেস্কঃ
রবিবার হকি ডার্বির মাঠে মারামারি ছবি নিয়ে ফের দ্বন্দ্ব দুই প্রধান কর্তাদের। এ দিন ইস্টবেঙ্গল শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন, ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান হকি লিগ ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ার পর মোহনবাগান সচিবের বক্তব্য শুনে সারা বাংলার ক্রীড়াপ্রেমী মানুষেরা হতবাক। হতবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক – “খেলার মাঠে এরকম গালাগালি হবে না, গন্ডোগোল হবে না এটা আবার কি!” একজন দায়িত্বশীল মানুষ এরকম কথা বলতে পারেন তা ভেবেই অবাক হচ্ছি। সারা পৃথিবী জুড়ে উৎসাহী সমর্থকরা মাঠে আসেন তাদের প্রিয় ক্লাবকে সমর্থন করতে এবং অবশ্যই জয় দেখতে। সেটা আমরা যারা কর্ম সমিতিতে আছি এবং কাজ কর্মের সঙ্গে যুক্ত আছি তারা সবাই জানি, পাশাপাশি আমাদের এটা জানা উচিত কোনো বিশৃঙ্খলা, কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি স্পোর্টসের জন্য একেবারে কাম্য নয়। আর সেটা খেলার মাঠে হলে রাজ্যের পাশাপাশি দেশের জন্য ভালো বার্তা বহন করে না। খেলার মাঠে শান্তি, শৃঙ্খলা বজায় রাখা উচিত সবার। সেখানে ওইরকম একটি ক্লাবের সচিব হিসাবে সমস্যা না মিটিয়ে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলছেন। আমার মনে হয় এটা কখনোই করা উচিত নয়। খেলার মাঠে তো বটেই কোনো জায়গার জন্য এটা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। যে চেয়ারে বসে আছে, সেই চেয়ারের সম্মান রক্ষা করার মতো শব্দ ব্যবহার করা উচিত।
ওই মাঠে একজন সাংবাদিক মজা করে আমাকে বললেন, “মোহনবাগানের তিন হাজার ছিল, সেখানে আপনাদের চার পাঁচশো ওদের বের করে দিলো? এটা কে আপনি কি বলবেন?” আমি বললাম, মাঠে কে রইলো আর কে বেরিয়ে গেল সেটা বড় কথা নয়। শান্তি, শৃঙ্খলাটা বজায় রাখাটাই হচ্ছে আমাদের বড় ক্লাবের প্রধান লক্ষ্য। আমরা এখানে যুদ্ধ টা করতে এসেছি মাঠে, মাঠের বাইরে নয়।
একজন বিবেচক মানুষের দায়িত্বশীল চেয়ারে বসা উচিত, যারা এই ভাবনা চিন্তায় সহমত হবেন।
সবশেষে আর একটা কথা বলি, সেটা হল উনিশশো আশি সালে ইডেনে দুই প্রধানের ম্যাচ দেখতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ষোলো জন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। রবিবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে তার দায় কি মোহনবাগান সচিব…? নিতেন? তাই আমার মনে হয় দায়িত্বশীল পদে থেকে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে খেলার মাঠ কলুষিত হবে না।