অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
তরুণ বাঙালি মিডফিল্ডার শেখ সাহিল এটিকে মোহনবাগান ছাড়ছেন। গত মরশুমে লিগ শিল্ড জয়ী জামশেদপুর এফসিতে তিন বছরের চুক্তিতে যাচ্ছেন সাহিল । মোহনবাগানের যুবদল থেকে উঠে আসা সাহিল কিবু ভিকুনার কোচিংয়ে সবুজ-মেরুন জার্সিতে দারুণ নজর কেড়েছিলেন। মোহনবাগানের আই লিগ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ দুবছর এটিকে মোহনবাগানের হয়ে আইএসএলে তেমন সুযোগ পাননি। শেষ আইএসএলে একটি ম্যাচেও মাঠে নামার সুযোগ হয়নি তাঁর। তাই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত। এদিন শেখ সাহিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি, জানান,” মোহনবাগান ছাড়ার সিদ্ধান্ত কখনই সোজা নয়। কিন্তু ২০২০-২১ মরশুমের পরে গত মরশুমে আমাকে একটাও ম্যাচে নামানো হয়নি। মাঠের বাইরে বসে থাকতে কারোরই ভালো লাগে না। এরপর ওদের থেকে প্রস্তাব আসে।”
শেখ সাহিলের কোচ রঞ্জন ভট্টাচাৰ্য জানালেন,” এটাই তো বাংলা ফুটবলের উন্নতি। এতো বড় বড় ক্লাব তরুণ ফুটবলারদের দলে নিচ্ছে। বাংলার এই মুহূর্তে অন্যতম সেরা প্রতিভা শেখ সাহিল। আমার বিশ্বাস ও যেখানেই যাবে ভালো ফলাফল করবে।” শুধু সাহিল নয় বাংলা ছাড়লেন সৌরভ দাসও।
কলকাতা তথা বাংলা ফুটবলের পরিচিত মুখ সৌরভ দাস। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, কলকাতার দুই বড় ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে ইতিমধ্যে। বয়স কম, ২৫ বছর। টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির ছাত্র রিষড়ার ছেলে সৌরভ দাস। সিনিয়র ক্লাব কেরিয়ারের শুরুতে খেলেছেন সবুজ মেরুন জার্সিতে। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ছিলেন গঙ্গা পারের তাঁবুতে। যে ক’টি ম্যাচে নেমেছিলেন নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। ২০১৮-১৯ মরশুমে বাগানের হয়ে জিতেছিলেন কলকাতা ফুটবল লিগ। মোহনবাগানের পর মুম্বই সিটি এফসি ও ইস্টবেঙ্গলে খেলেছেন। তবে যেমনটা খবর এই মরশুমে তিনি চেন্নাই পাড়ি দিচ্ছেন। চেন্নাইয়ে গিয়ে কতটা সাফল্য মেলে সৌরভের! এখন সেটার অপেক্ষায় সমর্থকরা।