এনএফবি,কলকাতাঃ
শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার ছাড়পত্র দিল আদালত। মহামারি পরিস্থিতিতে মেলার বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা করেন এক চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়। প্রায় দু’ঘন্টার শুনানি শেষ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব রায়দান স্থগিত রেখে জানান,’ রায় হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে যথাসময়ে আপলোড করে দেওয়া হবে।‘
শুক্রবার মেলার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে নির্দিষ্ট কয়েকটি কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কমিটিতে থাকবেন বিরোধী দলের একজন প্রতিনিধি। এছাড়া মানবাধিকার কমিশনের একজন সদস্যও থাকবেন। করোনা বিধি মেনে যাতে মেলা হয় সেই বিষয়টি নজরে রাখবেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা আদালতে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিলেন, করোনা আবহে এ বছর চার থেকে পাঁচ লক্ষ পুণ্যার্থী মেলায় আসবেন বলে মনে করছে রাজ্য। ইতিমধ্যে প্রায় পঞ্চাশ হাজার সাধু সাগরে হাজির হয়েছেন। ত্রিশ হাজারের মতো পুণ্যার্থী কপিলমুনির আশ্রমে গিয়েছেন। প্রায় দু’বর্গ কিলোমিটার জুড়ে এই মেলা বসে। শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগণাতেই মেলা পরিচালনায় দশ হাজার পুলিশকর্মী ও পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবক থাকবে রাজ্যের। মেলায় আগতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে মেডিক্যাল অফিসার, নার্স, ফার্মাসিস্ট, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী মিলিয়ে ৭৩৫ জনকে নিয়োগ করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র সচিবের এই হলফনামা উদ্ধৃত করেই রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ আমরা এই মেলা নিয়ে কোনও লড়াই চাই না। আমরা কী করতে পারছি, তা জানালাম বাকিটা হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত।“