জেলাফিচার

[:en]মধ্যযুগীয় বর্বরতা চন্দ্রকোনায়, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ বেধড়ক গণপিটুনি[:]

[:en]

এনএফবি, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এক শিক্ষককে বেধড়ক গণপিটুনির ভিডিও ভাইরাল (এনএফবি ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে নি) সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মার খেয়ে শিক্ষকের মাথা দিয়ে রক্ত ঝরছে, মোটা দড়ি দিয়ে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে চলছে মার। কেউ মারতে মারতে বলছে ‘তোকে তো মেরে দেবো বলে ভেবেছিলাম’ কেউ আবার বলছে ‘দড়িটা গলায় বাঁধি নি।’ যদিও মধ্যযুগীয় এই বর্বরতা থামাতে এগিয়ে আসতে দেখা যায় নি একজনকেও। বরং ওই নৃশংস অত্যাচারের দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করতে দেখা গেছে অনেককে।

ঘটনাটি ঘটেছে চন্দ্রকোনা-২ নং ব্লকের, শ্রীরামপুর গ্রামে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীরামপুর গ্রামের এক কলেজ ছাত্রীর সাথে কেশপুর থানার নেড়াদেউলের বাসিন্দা এক স্কুল শিক্ষক প্রনয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরে জানা যায় ওই শিক্ষক বিবাহিত। কয়েক দিন আগে শিক্ষক শ্রীরামপুরে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে আসলে তখনই শিক্ষককে ধরে মেয়ের বাড়ির পরিবারের সদস্যরা। তারপরই চলে অত্যাচার। বসে সালিশি সভা। সেখানে নিদান দেওয়া হয় ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮ লক্ষ টাকা দিতে হবে ওই শিক্ষককে। একইসঙ্গে চলে মারধর।

জানা গেছে, আক্রান্ত ওই ব্যক্তি বর্তমানে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এই ঘটনার পর নিরব চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। যদিও কিছু মানুষের অভিযোগ, মারধোর করা ব্যক্তিরা শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই এতো বড় ঘটনা নিয়ে পুলিশের এই শীতলতা।

[:]