অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
তিনি যেন ভারতের স্বপ্নপূরণের সওদাগর। এশিয়ান কাপে ভারতের কোয়ালিফাই করার অনেকটাই বাহবা প্রাপ্য কোচ ইগর স্টিমাচের। ভারতের সাফ কাপে ব্যর্থতা থেকে একাধিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে খারাপ পারফরমেন্স। অনেকেই ক্রোয়েশিয়ান কোচের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলো। এবার এশিয়া কাপে কোয়ালিফাই না করলে তার চাকরিও হয়ত থাকত না। এই অবস্থায় যুবভারতীতে হং কং কে হারিয়ে একাধিক শর্ত দিলেন ভারতীয় কোচ।
সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরণ ঘটালেন স্টিমাচ। তিনি বলেন, ‘‘আমার চুক্তি শেষ হওয়ার পথে। আমাকে যদি রাখতে হয়, তা হলে কিছু শর্তও মানতে হবে। আমার দেখার দরকার নেই কারা ফুটবল পরিচালনা করছে। আমি যখন চাইব, জাতীয় শিবিরের জন্য লিগের খেলা বন্ধ করতে হবে। যাদের আমি নির্বাচিত করব, তাদের ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলার সুযোগ দিতে হবে। আমি নিজেকে প্রমাণ করেছি। এখানে এসেছিলাম অনেক ঝুঁকি নিয়ে। একটা দলকে নতুন করে গড়ে তোলার চেয়ে অনেক সহজ আর্সেনাল, চেলসির মতো ক্লাবে কোচিং করানো। সেখানে নতুন করে কিছু গড়ে তোলার ব্যাপার থাকে না।” তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় ফুটবল এখনও প্রায় দশ বছর পিছিয়ে রয়েছে। আমার অনেক পরিকল্পনা রয়েছে।”যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ফেডারেশন কর্তারা এখন বহিস্কার হয়েছেন। তিন সদস্যর এক কমিটি ভারতীয় ফুটবল চালাচ্ছেন। সেখানে স্টিমাচের শর্ত কতটা বাস্তব রূপ পাবে উঠছে প্রশ্ন।এশিয়ার সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে খেলার টিকিট জিতে নিল অপরাজিত ভারত। এই নিয়ে টানা তৃতীয় জয় তাঁদের। এবং এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ভারত এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলবে। যা এর আগে কখনও হয়নি এবং এই ঘটনা ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে। ২০১৯-এও এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলেছিল ভারত।
এ দিন যুবভারতীর ভরা গ্যালারির সামনে আক্রমণের ঝড় বইয়ে দেন সুনীল ছেত্রীরা। গোলের ফোয়ারাও ছোটান। যত সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে, তার অর্ধেকও যদি কাজে লাগাতে পারতেন ভারতীয়রা, তা হলে হয়তো আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত ভারত।