অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
ফের কেরালার কাছে হারলো বাংলার ফুটবল। সন্তোষ ট্রফির ফাইনালের পরে মহামেডানকে গত শনিবার যুবভারতীতে হারিয়ে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় গোকুলাম এফসি। এবার এটিকে মোহনবাগানকে যুবভারতীতে ৪-২ গোলে হারালো কেরালার গোকুলাম। এদিন শুরু থেকেই হাড্ডাহাড্ডি খেলা হয়। রয় কৃষ্ণ আইএসএলের পরে মঙ্গলবার কামব্যাক করেই অধিনায়ক হন । হুগো বৌমসের জায়গায় মাঠে নামেন তিনি। শুরু থেকেই আক্রমণ নির্ভর ফুটবল হয়। তবে গোলের সুযোগ পেয়েও একাধিক সুযোগ মিস করেন তারা। ম্যাচের শুরুতেই এক মিনিটের মাথায় গোলের সুযোগ পায় এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু বলের লাইনে পৌঁছতে ব্যর্থ হন রয় কৃষ্ণ। ১৬ মিনিটের মাথায় কোলাসোর পাস থেকে রয় কৃষ্ণ সহজ সুযোগ মিস করেন। ১৮ মিনিটে রয় কৃষ্ণর শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ২৪ মিনিটে আবার জনি কাউকো গোল মিস করেন। এরপর ৩৮ মিনিটে তিরি চোট পেয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান। সন্দেশ ঝিঙ্গান ফিট না থাকায় তাকে না নামিয়ে আশুতোষ মেহেতা। প্রথমার্ধতেই এটিকে মোহনবাগান এগিয়ে থাকতে পারতো কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি ভাগ্যের জন্য। প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকার পরে দ্বিতীয়ার্ধে কিন্তু গোলের মুখ খোলে। শুরুতেই গোল খেয়ে যায় সবুজ মেরুন ব্রিগেড তাঁদের ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে ৪৯ মিনিটে গোকুলাম এফসির তাহির জামানের পাসে লুকা মাজসিন গোল করে যান। যদিও গোল খেয়ে ফিরে আসে গঙ্গাপাড়ের ক্লাব। ৫৩ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর কর্ণার থেকে প্রীতম কোটাল ম্যাচের সমতা ফেরায়। যদিও গোল করে টিম জুয়ান ফের গোল খেয়ে যায়। ৫৭ মিনিটে ফ্লেচারের পাসে রিষাদ দুরন্ত গোল করেন। ডিফেন্স থেকে আক্রমণ সব জায়গায় জর্জরিত এটিকে মোহনবাগান দিশেহারা হয়ে গত আইএসএল ডার্বির নায়ক কিয়ান নাসিরিকে লেনির জায়গায় নামান। ৬৫ মিনিটে ফের গোল খায় সবুজ মেরুন ব্রিগেড। গোকুলামের ফ্লেচারকে আটকাতে পারেনি আশুতোষ মেহেতা, বুদ্ধিবিপ্ত গোল করে যান লুকা। দুই গোলে পিছিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় এটিকে মোহনবাগানের। তবে লড়াই জারি চালায় তারা ৭৯ মিনিটে লিস্টন কোলাসো ফ্রিকিক থেকে গোল করেন। তবে ফের গোলের সুযোগ আসে সবুজ মেরুন ব্রিগেডের কাছে, যদিও সমতা ফেরাতে পারেননি তারা। সহজ গোলের সুযোগ ৮৪ মিনিটে মিস করেন কিয়ান। ৮৯ মিনিটে লুকার সহযোগিতায় জিতিন এম এস গোল করেন। এদিন এটিকে মোহনবাগান ডিফেন্সকে একপ্রকার মাটি ধরিয়ে দিলো গোকুলাম। এই হারের ফলে চাপ বাড়লো। মাথা নিচু করে হেরেই মাঠ ছাড়লো জুয়ানের ছেলেরা। পরের ধাপে যাওয়া বেশ কঠিন হয়ে গেলো গঙ্গাপাড়ের ক্লাবের।