ক্রীড়া

মুম্বই ম্যাচে হারের জন্য দলের চোট আঘাতকেই দায়ী করছেন বাগান কোচ

এনএফবি, স্পোর্টস ডেস্কঃ

নতুন বছরের শুরুতে দু’সপ্তাহেরও বেশি ছুটি পেয়েছেন। দলে নতুন ফুটবলাররা যোগ দিয়েছেন। চোট-আঘাতের সমস্যা দু’সপ্তাহ আগের চেয়ে এখন অনেক কম। তা সত্ত্বেও শনিবার মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে এক গোলে হারের কারণ হিসেবে সেই চোট-আঘাতের সমস্যাতেই ফিরে গেলেন এটিকে মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দো।

তাঁর বক্তব্য, দল না জিততে পারলেও ফুটবলারদের লড়াই ও গোলের সুযোগ তৈরির বহর দেখে তিনি খুশি।

শনিবার কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে দুই দলের মধ্যে ৯০ মিনিটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে ১-০-এ জেতে মুম্বই সিটি এফসি। ২৯ মিনিটের মাথায় লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতের গোলে চলতি লিগে তাদের এগারো নম্বর জয়টি তুলে নেয় লিগ শীর্ষে থাকা মুম্বই সিটি এফসি। এই নিয়ে টানা ন’টি ম্যাচে জিতল তারা। হারলেও দ্বিতীয়ার্ধে মুম্বই সিটি এফসি-কে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয় এটিকে মোহনবাগান।

গোলশোধ করার জন্য মরিয়া সবুজ-মেরুন শিবির একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকলেও মুম্বইয়ের দুর্ভেদ্য ডিফেন্স তাদের বারবার প্রতিহত করে।

মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে সাতটি ম্যাচ খেলা হয়ে গেলেও এখনও কোনও ম্যাচে জিততে পারেনি এটিকে মোহনবাগান। যে দু’টি ম্যাচ ড্র করেছে তারা, তা ফেরান্দো দলের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই করেছে। তবে এ দিন ফেরান্দোর দায়িত্বে থাকা সবুজ-মেরুন বাহিনী প্রথম সাগরপাড়ের দলের কাছে হার মানল। হারের পর স্প্যানিশ কোচ বলেন, “আমার কাছে দলের ভাল পারফরম্যান্স, গোলের সুযোগ তৈরি এগুলোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফল অবশ্যই হতাশাজনক হয়েছে। কিন্তু মুম্বই আমাদের চেয়ে ভাল খেলেছে বলেই জিতেছে।” এই হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সেই চোট-আঘাত সমস্যাকেই টেনে আনেন কোচ। বলেন, ” চেন্নাইন এফসি-র বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের পরে আমরা আর কখনও একসঙ্গে ছজন বিদেশি ফুটবলারকে পাইনি। এই প্রথম একসঙ্গে ছজনকে পেলাম। তা ছাড়া আগেও বলেছি, এত খেলোয়াড়ের চোট-আঘাত সমস্যা ছিল আমাদের যে, ঠিকমতো সবাইকে নিয়ে অনুশীলনও করতে পারিনি একসঙ্গে। এটা অজুহাত নয়। তবে এটাই সত্যি। ৯-১০ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে তো আর কোনও ম্যাচের জন্য ঠিকমতো প্রস্তুতি নেওয়া যায় না। আমি বরং খুশি আমার দলের ছেলেরা তাদের দৃঢ় চরিত্রের পরিচয় দিয়েছে, নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।”

চোটের ফিরিস্তি দিয়ে এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “ফারদিনের পায়ের পেশীতে চোট। তাই ও ৪৫ মিনিটের বেশি খেলতে পারছে না। হুগোর কাঁধে সমস্যা। ইঞ্জেকশন নিয়ে মাঠে নামতে হচ্ছে ওকে। পেট্রাটসেরও কোমরে চোট রয়েছে। খুবই কঠিন পরিস্থিতি। আমরা লিগ শুরুর পর পরই একের পর এক খেলোয়াড়কে চোট-আঘাতের জন্য হারিয়েছি। ওরা যদি থাকত, তা হলে ফল অন্য রকম হত। সেপ্টেম্বরের দল আর এখনকার দলের মধ্যে অনেক তফাৎ। এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও যে ওরা ভাল খেলে যাচ্ছে, এ জন্যই আমি খুশি। তবে প্রার্থনা করুন। মরশুমের বাকি সময়ে যেন আর নতুন করে চোট-আঘাত না হয়।”