ক্রীড়া

ম্যাচ হেরে সিনেমা দেখল বাংলা দল

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

পঞ্জাব ম্যাচ জিতে সন্তোষ ট্রফি অভিযান শুরু করলেও সোমবার কেরালার কাছে ০-২ গোলে হেরে গেছে বঙ্গ ব্রিগেড। বাংলার বাকি, মেঘালয় আর রাজস্থান ম্যাচ কার্যত মরণ বাঁচন লড়াই । বড়ো দুই ম্যাচে নামার আগে ফুটবলারদের মানসিক ভাবে চাঙ্গা রাখার কাজ করল আইএফএ । মঙ্গলবার দলের সব ফুটবলার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফদের কেরালাতে সিনেমা দেখাতে নিয়ে গেলেন আইএফএ কর্তারা । দেখানো হল কেজিএফ চ্যাপ্টার টু । মানসিক ভাবে দলের সকলকে তরতাজা রাখতেই এই উদ্যোগ বলে জানালেন সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় । তিনি জানালেন, দল লড়াই করেছে। ওরা বাকি দুই ম্যাচে ভালো ফল করে ফিরে আসবে সেই বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।

বাংলার কোচ রঞ্জন ভট্টাচাৰ্য জানালেন, “ছেলেদের বলেছি ভেঙে পড়ার মত কিছুই হয়নি। আমরা যদি এখনও ঠিক ঠিক জায়গায় সঠিক ফুটবলটা খেলতে পারি কোয়ালিফাই না করার কিছু নেই। আর বাংলা জানে কামব্যাক করতে। দুটো ম্যাচ কঠিন ম্যাচ আমরা ঠিক লড়াই করে সেমিফাইনাল খেলব।”

সোমবার রাতে মালাপ্পুরমের মানজেরি স্টেডিয়ামে কেরালার কাছে বাংলা হারে ০-২ গোলে। কেরালার হয়ে দুটি গোল করেন জিজো জোসেফ এবং জেসিন থোনিক্কারা। এই ম্যাচ জয়ের পর কার্যত সেমি ফাইনালে পৌঁছে গেল আয়োজক কেরালা । বাংলার শেষ চারের রাস্তা বেশ কঠিন হয়ে গেল। পরের দুটি ম্যাচে বাংলা যদি পয়েন্ট নষ্ট করে তাহলে হয়তো গ্রুপ থেকে বিদায় নিতে হবে বাংলাকে।

এদিন প্রথমার্ধের লড়াইটা ছিল সমানে সমানে। তবে বাংলা একজন যোগ্য স্ট্রাইকারের অভাব অনুভূত করল শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী কেরালার বিপক্ষে। গোটা ম্যাচে তেমন কোনও গোলের সহজ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারলো না বাংলা। উল্টো দিকে বেশ ব্যস্ত থাকতে হলো বাংলা লক্ষণ এবং গোলরক্ষক প্রিয়ন্তকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জঘন্য ভুল করে প্রায় গোল খাইয়ে দিয়েছিলেন বাংলা ডিফেন্ডার শুভেন্দু মান্ডি। কোনমতে বেরিয়ে এসে নিশ্চিত গোল বাঁচান প্রিয়ন্ত। এছাড়াও আরও দুটি ক্ষেত্রে ত্রাতার ভূমিকায় আসেন তিনি। ম্যাচ যত শেষের দিকে এগিয়ে আসছিল ততই কানায় কানায় ভরা গ্যালারি চিৎকারে চাপে পড়ে যাচ্ছিল বাংলা। আর সেই সুযোগ নিল কেরালা। প্রথমে ৮৫ মিনিটে গোল করে কেরালা । আর দ্বিতীয়ার্ধের সংযুক্তি সময়ে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে কেরালার জয় নিশ্চিত হয় ।