কুনাল ঘোষ সহ সভাপতি হওয়ায় শক্তিশালী হচ্ছে এটিকে হাঁটাও স্লোগান

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

মোহনবাগানের ইতিহাসের সঙ্গে কোনো আপস করা চলবে না। মোহনবাগানের আগে এটিকের নাম মানছি না মানবো না গত দুই বছর ধরে সবুজ মেরুন সমর্থকদের একটা বড় অংশ এটিকের বিরুদ্ধে স্লোগান থেকে বাগানের ইনভেস্টর এটিকে প্রধান সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সিইএসসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে পোস্টারও মেরেছেন। তবে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। এটিকের নাম সরেনি। কিন্তু বুধবারের পরে মনে বল পাচ্ছে মোহনবাগান সমর্থকরা। কারণ গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে নতুন সহসভাপতি হয়ে এসেছেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা মোহনবাগানি কুনাল ঘোষ। কারণ কিছুদিন আগে কুনালের সোশ্যাল মিডিয়ায় করা কিছু পোস্ট।

নতুন সচিব দেবাশিস দত্তকে অভিনন্দন জানিয়ে কুনাল নিজের ফেসবুকে লেখেন,”মোহনবাগান ক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা। এগিয়ে চলুক পালতোলা নৌকো। বাল্যবন্ধু এবং পতাকা হাতে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখা সদস্য-সমর্থক দেবাশিসকে ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন কর্মসমিতিতে নির্বাচিত হওয়ার জন্য। নতুন সচিব দেবাশিস দত্ত ও ফুটবল সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছার পাশাপাশি অনুরোধ- স্পন্সর আসুক। লগ্নিকারী থাকুক। সময়োপযোগী ও বাস্তবমুখী সব পদক্ষেপ নিন। তবে মোহনবাগান নামের আগে অন্য ক্লাব এটিকের উল্লেখ সরানোর উদ্যোগ শুরু হোক। জয় মোহনবাগান ।” শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তৃণমূল মুখপাত্র। সহসভাপতি হয়েও এটিকে হাঁটাও স্লোগান থেকে যারা তার বাগানের সহসভাপতি হওয়ায় রাজনীতির গন্ধ শুকছেন তাঁদের উদ্দেশ্য জানান,”মোহনবাগান ক্লাবের সহ সভাপতি মনোনীত হওয়ায় ধন্য মনে করছি। যারা মনোনীত করলেন, আশীর্বাদ করলেন, শুভেচ্ছা জানালেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। যাঁরা একটু ভ্রু কুঞ্চিত করলেন, তাঁদের তিনটি কথা বলি।
এক, বাল্যে দাদুর সঙ্গে, কৈশোর থেকে সবান্ধবে মোহনবাগান করা লোক আমি।
দুই, ২০১২ সালে ক্লাবের শাস্তি রুখতে শহরজোড়া সই সংগ্রহের পর মানসদা, বিদেশদা এবং আমি গিয়েছিলাম দিল্লিতে এ আই এফ এফ সচিব কুশল দাসের সঙ্গে বৈঠকে। বৈঠক ফলপ্রসূ হয়। সেদিনই বঙ্গভবনে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলাম।
তিন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি সচিব পদে মনোনয়ন দিয়েছিলাম। টেকনিকাল কারণে তা বাতিল হয়। ফলে, আমি মোহনবাগানে মঙ্গলগ্রহ থেকে হঠাৎ এসে পড়িনি। সদস্য, সমর্থকরা জানেন।আশা করি, সচিব দেবাশিস দত্তর নেতৃত্বে নতুন কমিটি দারুণ কাজ করবে। আশা করব, লগ্নিকারীদের পূর্ণ সম্মান দিয়ে সময়োপযোগী ভাবনা নিয়ে চললেও মোহনবাগানের নামের আগে অন্য ক্লাব এটিকের নামটি তোলার উদ্যোগ শুরু হবে। আমি একটি রাজনৈতিক দল করি। কিন্তু অন্য দলের একাধিক নেতা, কর্মীরাও যেভাবে শুভেচ্ছা জানালেন, ভালো লাগল। এটা মোহনবাগানীয় ঐক্য ও সংস্কৃতি। জয় মোহনবাগান।”

এর থেকেই পরিষ্কার আর সমর্থকদের মধ্যে এটিকে হাঁটাও স্লোগান আটকে নেই । মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্তর কাছে প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে মোহনবাগান সমর্থকদের আবেগকে বাঁচানো। কুনাল ঘোষের মত রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী যিনি মোহনবাগানের নামের সঙ্গে কোনো আপস করতে রাজি নয় এমন ব্যক্তিকে বাগান সহ সভাপতি পেয়ে যাওয়ায় কাজটা অনেক সহজ হয়ে গেল মনে করছে কলকাতা ময়দান।