বালুরঘাটে পুজোর উদ্বোধনে এসে তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করলেন সর্বভারতীয় বিজেপি নেতা মিঠুন

এনএফবি,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

জিভ টেনে ছিড়ে নেব, এগুলো পুষ্প বৃষ্টি, মাথার এখানে গুলি করব, পুষ্প বৃষ্টি? এমন কি গায়ের চামড়া দিয়ে জুতো বানাবো, এগুলো এখন পুষ্প বৃষ্টি হচ্ছে রাজ্যে তাই না? তার বিরুদ্ধে ভোটের সময় ভাষার হিংসা ছড়ানোর তৃণমূলের তোলা অভিযোগ নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে আজ বালুরঘাটে দলীয় সভায় যোগ দিতে এসে এক সাংবাদিক বৈঠকে এভাবেই তৃণমূলের দিকে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় নেতা তথা বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তার আরও বক্তব্য আমি যখন আমার ছবির ডায়লগ বলেছিলাম, যা আমার রুটি রুজির কামাই, তা নিয়ে আমার বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ তুলে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল, তাহলে এখন বঙ্গে এসব যা ডায়লগ চলছে সেগুলি নিশ্চই পুষ্প বৃষ্টি চলছে এই প্রশ্নই তিনি প্রেস মিটে ছুড়ে দেন।পাশাপাশি তার দাবি তিনি কোন ব্যক্তিগত রাজনীতি করেন না। মনুষ্যত্ব নিয়ে রাজনীতি করছি। সুতরাং যে বলছে বলতে দিন, আমি কোন কিছু বলব না।

অপরদিকে তৃণমূলের তরফে বলা হয় তাকে টেলিভিশনে দেখালে নাকি ভোট তৃণমূলের বাড়বে, এই প্রশ্নের উত্তরে মিঠুন চক্রবর্তী মুচকি হেসে বলেন, দল যদি মনে করে আমাকে দেখাবে না, তাহলে আমাকে ডাকবে না ৷ তৃণমূলের ভোট বাড়বে ৷ ভেরী গুড, তবে সেটা দলকে ভাবতে দিন।

আজ বালুরঘাটে বিজেপির দলীয় কর্মীদের নিয়ে প্রাক পূজা সম্মিলনী বৈঠকে কলকাতা থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সাথে মালদা হয়ে ট্রেনে বালুরঘাট আসেন চলচ্চিত্র অভিনেতা তথা বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বালুরঘাটের একটি বেসরকারি হোটেলের সভা গৃহে তিনি দলের কর্মীদের সাথে যোগ দেন। সেখানে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তিন বিধায়কের পাশাপাশি দলের জেলা সভাপতি থেকে অনান্য নেতা নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। দুঘন্টার ও বেশি ধরে চলা সেই বৈঠকে দলের কর্মীদের লড়াই চালানোর উপর জোরালো বক্তব্য রাখেন বিজেপির নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। পরে সাংবাদিকদের সামনেও তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে সে কথা জানিয়ে বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব যে ভাবে পরামর্শ ও নির্দেশ দেবেন সে ভাবে কাজ করুন। পাশাপাশি লড়াই করার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছি লড়াই করা ছাড়া ভিন্ন কোন পথ নেই।

এছাড়াও আজকের এই ভিড়ে ঠাসা সাংবাদিক সম্মেলনে মিঠুন চক্রবর্তীকে যখন তার আসাকে কেন্দ্র করে তাকে স্বাগত জানাতে টাঙানো ফেস্টুন ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। স্পষ্টতই মিঠুনকে বিব্রত হতে দেখা যায়, এই ব্যাপারে তিনি নিজে কিছু না বলে তার পাশে বসা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাতে মাউথ স্পিকার তুলে দেন। সুকান্ত মজুমদার সেই প্রশ্নের জবাবে বলেন মিঠুন চক্রবর্তী ভারতের মানুষের হৃদয়ে আছেন। তাই অত সহজে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না।

অপরদিকে তার দীর্ঘ চলচ্চিত্র জীবনে শিক্ষার দুর্নীতি নিয়ে অপার ঘর থেকে এত কোটি টাকা এক সঙ্গে দেখেননি বলে জানিয়ে বলেন তিনি এই নিয়ে হতাশাগ্রস্ত।

অন্যদিকে দীর্ঘ ৪০ বছর পর ট্রেনে চড়ে বালুরঘাটে আসাকে তিনি খুব ভাল ভাবে উপভোগ করেছেন বলে জানান। পাশাপাশি তার দাবি দল তাকে যেমন ভাবে চলতে বলবে তিনি সেভাবেই দলের সাথে মানিয়ে নিয়ে চলতে চান।

আজ সন্ধ্যায় মিঠুন চক্রবর্তী মালদা হয়ে ফের ট্রেন যোগে কলকাতায় ফিরে যাওয়ার আগে বালুরঘাটে একটি পুজোর উদ্বোধন করবেন।
মিঠুন চক্রবর্তীর এই সফরকে ঘিরে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি দলের নেতা, কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়।

মহালয়ার পুণ্য লগ্নে মিঠুন সবাইকে দুর্গা পুজোর শুভেচ্ছা জানান।