এনএফবি ব্যুরো, কলকাতাঃ
এসএসসি গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার আরও ৫৪২ জনের খোঁজ মিলেছে যাদের নিয়োগে অস্বচ্ছতার প্রমাণ মিলেছে। কলকাতা হাইকোর্ট এদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। মামলাকারীরা বহু আগে থেকেই দাবী করে আসছে অস্বচ্ছভাবে নিয়োগের সংখ্যা মাত্র ২৫ জন নয়, বরং তা আরও বেশি। আদালতের আজকের শুনানিতে তাদের সেই দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল এই মামলায় সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরোধিতা করে চলতি সপ্তাহেই ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিল রাজ্য। সেই আবেদনের শুনানিতেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার তিন সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তারপরে বৃহস্পতিবার ফের মামলা সিঙ্গল বেঞ্চে ফিরেছে এবং আদালতের পর্যবেক্ষণ রাজ্যের বিরুদ্ধে গিয়েছে।
ডিভিশনের বেঞ্চের নির্দেশ, আজই আদালতে স্কুল সার্ভিস কমিশন ও পর্ষদকে গ্রুপ ‘ডি’ কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত সব নথি জমা দিতে হবে। সিল করা খামে তা জমা থাকবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে। আদালতের নির্দেশ ছাড়া ওই নথি কেউ দেখতে পারবেন না।
আগামী সোমবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। শুরু হবে মামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত।
এসএসসি গ্রুপ ‘ডি’ কর্মী নিয়োগ নিয়ে মামলার অনুসন্ধানের ভার গত সোমবার সিবিআই-কে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। শুনানিতে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন যে, “কমিশন সুপারিশ না করলে, কীভাবে নিয়োগপত্র দিল পর্ষদ? কোন অদৃশ্য হাতে এই সুপারিশ পর্ষদে পৌঁছল, কারাই বা জারি করল? ব্যক্তিগতভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের বিরোধ নেই। নেতা-মন্ত্রী আধিকারিক যেই জড়িত থাকুক না কেন দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করতে হবে। কারা নিয়োগপত্র দিয়েছিল? খুঁজে বার করতে হবে। দুষ্কৃতীরা কোনও রাজনৈতিক দলের হয় না।“ বিচারপতির নির্দেশ ছিল, অনুসন্ধান কমিটিতে থাকবে ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিক, যুগ্ম অধিকর্তা পদমর্যাদার আধিকারিক। অনুসন্ধান দল ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে মুখ বন্ধ খামে আদালতকে রিপোর্ট জমা করবে। তারপরই হবে তদন্তের নির্দেশ বিবেচনা।