এনএফবি, কোচবিহারঃ
পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবারও অশান্ত মাথাভাঙ্গার পচাগড় এলাকা। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়।
জানা যায়,পচাগড় অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জয় বিশ্বাসের বাড়িতে সোমবার গভীর রাতে দুষ্কৃতীরা এসে বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ।
ওই অঞ্চলের সভাপতি সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, রাত আনুমানিক পৌনে ২টা নাগাদ বিকট শব্দ শুনতে পাই। এরপর বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে দেখি চারিদিকে বোমার সুতলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। এরপরে স্থানীয়রা ছুটে আসেন তারাও এসে বলেন একটি বাইক এদিক দিয়ে গেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন রাতে তার বাড়ির সামনে বোমাবাজি করা হয়েছে। তৎক্ষণাৎ তিনি পুলিশে খবর দিলে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করে এবং সেখান থেকে একটি তাজা বোমাও উদ্ধার করে নিয়ে যায় বলে জানা যায়। এই ঘটনায় সরাসরি বিরোধীদের দিকেই অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে। এদিকে মঙ্গলবার সকালে ওই অঞ্চল সভাপতি সাথে দেখা করতে তার বাড়িতে পৌঁছে যান কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মনসহ আরো অন্যান্য নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সেখানে পৌঁছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সাথে কথা বলার পাশাপাশি গোটা বিষয়টি খোঁজখবর নেন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অঞ্চল তৃনমূলের সভাপতি সঞ্জয় বিশ্বাসের সাথেও কথা বলেন।
এদিন এই ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, বিজেপি কংগ্রেস সিপিএমের অশুভ জোট তারাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বোম বারুদ গুলি ব্যবহার করে পচা গড় অঞ্চলকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। শান্ত এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা কখনোই মেনে নেওয়া যাবে না। কে বা কারা এই ঘটনার সাথে যুক্ত তাদের অবিলম্বে চিহ্নিতকরণ করে গ্রেপ্তার করার দাবিও তোলেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান। স্বাভাবিকভাবেই পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির খবর সামনে আসছে তবে এবার শান্ত পচা গড় অঞ্চলকে নতুন করে অশান্ত করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। মাথাভাঙ্গা র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা জানান ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ । এলাকায় যাতে কোন অশান্তির বাতাবরণ তৈরি না হয় তার জন্য পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।