স্পোর্টস ডেস্ক, এনএফবিঃ
জাতীয় গেমসে কেরালাকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়ে সোনা জিতে আজ শুক্রবার দুপুরে দু’দিন ধরে ট্রেনে সফর করে কলকাতায় ফিরল বাংলার ফুটবলাররা। তবে কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে আইএফএ’র কর্তারা ফিরেছেন বিমানে। কর্তাদের এহেন আচরণ নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠছে ফুটবল মহলে। নেটিজেনরাও প্রশাসনের এহেন ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। এই ঘটনার নিন্দা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার রহিম নবি।
জানা গিয়েছে, ফুটবলাররা বিমানে চেপেই বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন পত্রপাঠ নাকচ করে দেওয়া হয় আইএফএ-র পক্ষ থেকে। অবশেষে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন হেড কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য ও আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত।
বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, “ট্রেনে বাড়ি ফেরার মধ্যে অসম্মানের কি আছে! কয়েক বছর আগে বিজয় হাজারে ট্রফি খেলতে ট্রেনে চেপেই কলকাতায় এসেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। মনে রাখবেন ততদিনে ধোনি কিন্তু ভারতের অধিনায়ক হিসেবে তিনটি আইসিসি ট্রফি জিতে নিয়েছে। তিনি যদি ট্রেনে যাতায়াত করতে পারেন, তাহলে বাংলার ফুটবলারদের ট্রেনে ফিরতে দোষ কোথায়! আর তাছাড়া ওরা তো বাতানুকুল কামরা যুক্ত ট্রেনে ফিরেছে। স্লিপার ক্লাসে বসে ফিরতে হয়নি।”
তিনি আরও বলেন যে, “ফুটবলারদের সঙ্গে আমারও ট্রেনে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু পারিবারিক কারণেই প্লেনে কলকাতায় ফিরতে বাধ্য হলাম।”
আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, “আমদের বাংলা দলে মোট ২৪ জন সদস্য রয়েছে। আমরা কিন্তু বিমানের টিকিটের চেষ্টা করেছি। তবে সবার একসঙ্গে টিকিট পাইনি। জাতীয় গেমস খেলতে যাওয়ার সময় কিন্তু পুরো দল বিমানেই গিয়েছিল। ফেরার দিনক্ষণ তো আমরা কেউই জানতাম না। ফলে আগে থেকে টিকিট কাটা সম্ভব ছিল না। আমরা সবাই ফাইনালে দলকে দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ফাইনালে যে দল যাবেই এমন কোনও গ্যারান্টি তো ছিল না। ফাইনালের পর আমরা যখন বিমানের টিকিট কাটতে গেলাম, তখন সবার একসঙ্গে টিকিট পেলাম না। এতবড় দল একসঙ্গে না এলে সমস্যা অনেক। চার-পাঁচ ভাগে ফুটবলাররা ফিরলে তাদের দায়িত্ব কে নেবে! তবুও অনেক চেষ্টা করার পর আমরা ১৩ অক্টোবরের টিকিট পেয়েছিলাম। সেটা জানার পর আমরা জাতীয় গেমসের আয়োজকদের কাছে আবেদন করেছিলাম যাতে ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফদের বাড়তি একদিন থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে আয়োজকরা অনুমতি দেয়নি। সেটা নিয়ে ফুটবলারদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয়। ট্রেনে ফেরা নিয়েও কথা হয়েছিল। তখন কিছু ফুটবলার বিমানে ফেরার কথা বলে। যদিও আমি ওদের বলেছিলাম বিমান ভাড়ার বাকি টাকা সব ফুটবলারদের মধ্যে সমানভাবে বন্টন করা হবে। সেটা শোনার পর ফুটবলাররা বাতানুকুল কামরার ট্রেনে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়।”