মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
শীতলকুচি কলেজ ছাত্রীর ধর্ষণকান্ডে তিন অভিযুক্তের ডিএনএ টেস্ট করা হল মাথাভাঙ্গায়। বৃহস্পতিবার সকালে ওই তিন অভিযুক্তদের নিয়ে আসা হয় মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার মণিভূষণ সরকারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী মাথাভাঙ্গা হাসপাতালে এসে পৌঁছান।
জানা গেছে, গত ২১ ডিসেম্বর শীতলকুচি কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্তদেরকে পুলিশ যথাসময়ে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়েছে। বর্তমানে তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে শীতলকুচি থানায়। এদিন শীতলকুচি থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ধর্ষণকাণ্ডে ব্যবহৃত বামনডগা এলাকার ওই বাড়িতে যায়। সেখানে জলপাইগুড়ি থেকে আগত ফরেনসিক দলের চিকিৎসক মৌসুমী রক্ষিতের নেতৃত্বে চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল উপস্থিত হন। সেই বাড়িতে ধর্ষণকাণ্ডের বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরীতে নিয়ে যাওয়া হয়। যে গাড়িটি অভিযুক্তরা ধর্ষণকাণ্ডে ব্যবহার করেছিল সেই গাড়িটিও পরীক্ষা করে ফরেনসিক দল। তারপরেই আজ সকালে শীতলকুচি কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত জমির, রাসেল ও ফিরোজকে মাথাভাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তাদের ডিএনএ টেস্ট করার জন্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডিএনএ টেস্ট যেহেতু মাথাভাঙ্গা হাসপাতালে হয়না তাই তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে আজকেই কলকাতায় ফরেনসিক ল্যাবরেটরীতে নিয়ে যাওয়া হবে। এই ধর্ষণকাণ্ডে দ্রুতগতিতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই সাধারণ মানুষের।
এ বিষয়ে মাথাভাঙ্গা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মন্ডল জানান, ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে। রিপোর্ট এলে সমস্ত বিষয় জানা যাবে। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।