কাজের টাকা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ড্রাগন চাষীরা

এনএফবি,মুর্শিদাবাদঃ

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ড্রাগন ফল চাষ। আর এই ফল চাষ করার নির্দেশও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন যে ড্রাগন ফল চাষের কারণে একজন চাষী প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তরে জানান যে আন্তর্জাতিক বাজারে ড্রাগন ফলের মূল্য অনেক বেশি। এই ফল চাষ করতে পারলে চাষীরা অনেক টাকা লাভ করতে পারবে। আর এই ড্রাগন ফল চাষ করতে মরিয়া সুতি -১ ব্লক আধিকারিক এইচ এম রিয়াজুল হক মহাশয়। তিনি প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েত কে ড্রাগন ফলের চাষ করার পরামর্শও দেন। তিনি বলেন যে সরকারি পাইকারী বাজার মূল্য ৩০০ টাকা প্রতি কেজিতে। সেই মতো আহিরন গ্রাম পঞ্চায়েতে এবং সাদিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেও এই ড্রাগন ফল চাষ করা হয়েছে। কিন্তু চাষীরা চাষের মজুরি এখনও পর্যন্ত পায়নি বলে অভিযোগ করে।

বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক। নিজস্ব চিত্র

আজ বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২রা জুন বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হককে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে জানান মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পের টাকা এখনও পর্যন্ত পাননি। কাজেই চাষীদের অভিযোগ ন্যায্য । কারণ হিসেবে বলেন বিগত ডিসেম্বর মাস থেকে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পের কোনো টাকা ছাড়া হয়নি। অর্থাৎ টাকা আসলেই দিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও ছাগলে ড্রাগন গাছ খেয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ” এটা একটা হাস্যকর ব্যাপার, কারণ ড্রাগন গাছ একটি কেক্টাস জাতীয় উদ্ভিদ, গাঁয়ে কাঁটা থাকে।” তিনি জানান যে ১৫-২০ দিন পূর্বে ডিএমডিসি এসে ড্রাগন ফল চাষ পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক (জেলা পরিষদ)ও জমিতে ড্রাগন ফল চাষ পরিদর্শন করেন। ডিএমডিসি এবং এ.ডি.এম জেড.পি এসে প্রশংসা করেছে বলে জানা গেছে।

পঞ্চায়েত প্রধান। নিজস্ব চিত্র