এনএফবি শিলিগুড়িঃ
আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গজলডোবায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এবং ভুতনিতে নৌকাডুবিতে প্রাণ হারানো ছয়জনের বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন। তিনি গভীর শোকপ্রকাশ করে বলেন, “এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় আমি মর্মাহত।” মুখ্যমন্ত্রী নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে, গজলডোবায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ ও তিন লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। একইসঙ্গে নৌকাডুবিতে মৃতদের পরিবারকে দুই লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
উত্তরবঙ্গে প্লাবন পরিস্থিতি ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তা
এছাড়াও, উত্তরকন্যায় উত্তরবঙ্গ ও মুর্শিদাবাদের প্লাবিত হতে পারে এমন অঞ্চল নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে সম্প্রতি ছয়টি দোকান অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর, তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দোকানগুলি মেরামতের ব্যবস্থা করেন। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলির মালিকদের জন্য এক লক্ষ টাকা এবং পুনর্নির্মাণের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনিক সতর্কতা
নেপালের কোশী নদী থেকে ছাড়া ছয় লক্ষ কিউসেক জল বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্লাবনের সম্ভাবনা বাড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সকল জেলাশাসক ও জনপ্রতিনিধিদের সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। শস্য বিমার সময়সীমা বৃদ্ধি করে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছে এবং প্রশাসনকে বন্যা মোকাবেলায় তৎপর থাকতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, “ত্রাণ কার্যক্রমে কোনো খামতি যেন না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। মা-মাটি-মানুষের সরকার সারাক্ষণ আপনাদের পাশে রয়েছে।”
দুর্যোগ থেকে মুক্তির প্রার্থনা
মুখ্যমন্ত্রী মা দুর্গার আগমন উপলক্ষে ত্রিভুবনেশ্বরের চরণে প্রার্থনা জানিয়ে বলেন, “এই দুর্যোগ দ্রুত কেটে যাক, বাংলার প্রতিটি মানুষ যেন আবার হাসিমুখে, আনন্দে দিন কাটাতে পারে, এই কামনাই আমার।”