এনএফবি, কলকাতাঃ
দেউচা পাঁচামিতে আমরা আজকে যাচ্ছি। তিনশো লোককে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে সেই প্রতিশ্রুতি মতো মানুষের পাশে দাঁড়াবার চেষ্টা এবং চাকরির অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার তাদেরকে দেওয়া হবে এবং এই আদিবাসী মানুষদের পাশে আমরা রয়েছি। অনেক উস্কানি দিয়েছিল এই আদিবাসীদের। এটা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খনি এটা হয়ে গেলে বাংলার ইকোনমি-সহ ওই এলাকার ইকোনমিক উন্নত হবে। অনেকেই উস্কানি দিয়েছিল এখানকার মানুষজনদের যারা বাংলার ভালো চান না। কিন্তু মানুষের উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রেম এখানকার মানুষ সেটা বুঝতে পেরেছে সেই ধন্যবাদ জানাতে আমি যাচ্ছি। শনিবার চেতলার বাড়ি থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান কলকাতার মেয়র ফিরহাফ হাকিম।
ঘূর্ণিঝড় সিট্রন নিয়ে তিনি বলেন, প্রকৃতি আমার হাতে না কিন্তু আমরা পুরসভা পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছি আমফানের মত যদি কোন ঘটনা ঘটে গাছ উপড়ে যাবার মত সে ক্ষেত্রে আমাদের দু-তিন দিন সময় লাগবে আমরা যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়েছি।
ডেঙ্গি নিয়ে বললেন মানুষ যতক্ষণ না সচেতন হবে পুরসভা প্রাণপণ প্রচেষ্টা করছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্প্রে করছে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছে। ফিভার ক্লিনিক গুলো সারাদিন রাত্রি খোলা আছে। আমার বাড়ির ছাদে জল জমে থাকবে আর আমি পুরসভাকে গালিগালাজ করব এটা হতে পারে না। আমার বাড়ির ছাদে জমা জল পরিষ্কার করার দায়িত্ব আমার। আইন সবার জন্য এক কিন্তু মানুষকে সচেতন হতে হবে। আমি নিজে বহু জায়গায় দেখেছি নিজেদের মধ্যে ঝামেলা ভাইয়ে ভাইয়ে গন্ডগোল সেই বাড়িছাদে থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর লার্ভা। মানুষের ব্যবহার যদি এরকম হয় পুরসভার কিছু করার নেই। মানুষকে বলছি সচেতন হতে। কলকাতায় কয়েক লক্ষ ছাদ রয়েছে সব ছাদে পুরসভার ওঠা সম্ভব না এগুলো মানুষকেই পরিষ্কার করতে হবে।
যখন গণতন্ত্রের মানুষ হেরে যায় রাজনৈতিক লড়াইয়ে হেরে যায় তখন অভিসন্ধি করে যেভাবে বাংলাকে ভাগ করেছিল ব্রিটিশরা। ডিভাইড রুল করে বাংলার শক্তিকে নষ্ট করতে চাইছে এই অভিসন্ধি গুলো টিকবে না মানুষই পরাস্ত করবে।
তৃণমূল কংগ্রেস ছাপ্পা ভোটে বিশ্বাস করে না এই ওয়ার্ডে আমি কয়েক মাস আগে জিতেছি এই ওয়ার্ডের একজন মানুষ যে বলবে আমি ভোট দিতে পারিনি অথচ তার ভোট পরে গেছে তাকে নিয়ে স্পেশালি কোর্টে যাব এখান থেকে ইলেকশন কমিশনের ডাইরেকশন নিয়ে সেখানে যদি দেখি তার ভোট অন্য কেউ দিয়ে দিয়েছে তাহলে আমি রিজাইন দিয়ে দেবো। তৃণমূল কংগ্রেস শক্ত দল, আমি অনৈতিক কাজ কোনদিন করিনি কখনও করবো না।
পার্থপ্রতিম রায় এবং উদয়ন গুহর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ফিরহাদিম বললেন আমরা মারামারিতে বিশ্বাস করিনা তার জন্য পুলিশ প্রশাসন আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মারের রাজনীতি করেননি তিনি বরং নিজেই মার খেয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। আমরা গান্ধী নীতিতে বিশ্বাস করি মারামারিতে নয়।বিরোধীরা যদি মারে তাহলে আমি বুক চিতিয়ে দিয়ে বলবো মারো কিন্তু গণতন্ত্রকে হত্যা করো না।