এনএফবি, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
বাগদা চিংড়ি, পার্শে বাঙালির রসনায় যেমন তৃপ্তি আনে , তেমনই চাষে বেশি লাভ পায় মৎস্যজীবীরা । পূর্ব মেদিনীপুর সহ রাজ্যে বাগদা চিংড়ির জায়গা দখল করেছিল ভেনামি চিংড়ি। আর সেই চাষ কমে যাওয়ায় বাগদা চিংড়ি চাষের বৃদ্ধিতে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প “স্বর্ণ মৎস্য যোজনা” -র অধীনে হলদিয়া ব্লকে বাগদা চিংড়ি সহ পার্শে মাছের মিশ্রচাষ প্রকল্পের সূচনা করা হয় ৷ শুক্রবার হলদিয়া বিডিও অফিস থেকে সাতজন মাছচাষিকে “স্বর্ণ মৎস্য যোজনা”র অধীনে পঁচিশ হাজার বাগদা চিংড়ি ও এক হাজার মালেট অর্থাৎ পার্শে মাছ বিতরণ করা হয়।
স্বর্ণ মৎস্য যোজনার অধীনের মাছ চাষিদের মধ্যে যেমন রয়েছে সফি আহমেদ, আতিয়ার রহমানের মতো অভিজ্ঞ মাছ চাষি সঙ্গে রয়েছে তরুণ চাষি গৌতম মাজি সহ সাতজন । ইতিমধ্যে মাছ ও চিংড়ি ছাড়ার আগে মাছ চাষিদের বায়ু সঞ্চালন যন্ত্র বা এয়ারেটর মেসিন দেওয়া হয়েছে।
হলদিয়ার মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, এই প্রথম হলদিয়ায় স্বর্ণ মৎস্য যোজনা রূপায়িত হচ্ছে ৷ হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন আধুনিক মাছচাষে হলদিয়া যেমন এগিয়ে রয়েছে তেমনি নতুন নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে মাছ চাষিদের আরও বেশি উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। মাছচাষি সফি আহমেদ বলেন, সরকারি প্রকল্প পেয়ে আমরা খুশি। তরুণ মাছ চাষি গৌতম মাজি বলেন, সুমন স্যারের উৎসাহে মাছ চাষের নতুন পেশায় এসে ছিলাম এখন সরকারি সুবিধা পাওয়ায় আর্থিক উপকার হল আরও ভালোকরে স্বাবলম্বী হতে পারব। মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে আগামীতে আরও বেশি করে এই ধরনের প্রকল্প রূপায়িত হবে।