এনএফবি, মালদাঃ
কুড়ি বছরের নিখোঁজ চন্দনা খুঁজে পেল বাড়ির ঠিকানা।
জানা যায়, মানিকচকের এ দিন ভূতনি থানা থেকে পরিবারের কাছে সকালে একটি ফোনে আঁতকে ওঠে পরিবারের সদস্যরা। খবর মিলতে ছুটে যায় ভূতনি থানায়। দীর্ঘ কুড়ি বছর পর এক পলক দেখায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আপনজনরা। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক ভুতনি থানার পুলীনটোলা এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভাগ্য চক্রে বিগত কুড়ি বছর আগে ১২ বছর বয়সে পুলিনটোলা গ্রাম থেকে আচমকা হারিয়ে যায় চন্দনা মন্ডল। মানসিক দিক থেকে খানিকটা ভারসাম্যহীন। দীর্ঘসময় এই শহর ওই শহর করতে করতে পৌঁছয় মুম্বাই শহরে। মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে মুম্বাইয়ের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরাঘুরি করত এই মানসিক ভারসাম্যহীন চন্দনা মন্ডল।সেখানে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা চন্দনা মন্ডলকে রাস্তার ধারে দেখতে পায়। কয়েক মাস ধরে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিল চন্দনা। একইসঙ্গে চলতে থাকে ঠিকানার সন্ধান। প্রথমদিকে সে বলতে থাকে মালদা এবং বিহারের কথা জানায় চন্দনা। তারপরও বেশ কিছুদিন কেটে যায় শেষমেষ মালদা শহরের সঙ্গে বলেন ভুতনি এলাকার কথা। অবশেষে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীদের দীর্ঘ প্রয়াসের পর মায়ানগরীর মুম্বাই থেকে নিজের ঠিকানায় পৌঁছায় চন্দনা।
ভূতনি থানার ওসি কুনাল কান্তি দাসের নেতৃত্বে, ভূতনি থানার সেকেন্ড অফিসার কনাই চক্রবর্তী চন্দনার পরিবারের লোকজনের সন্ধান শুরু করে। বহু চেষ্টার পরে খোঁজ পাওয়া যায় তার পরিবারে। পুলিশ চন্দনার বাড়িতে খবর দেয় এবং তার পরিবারের লোকজন আপ্লুত হয়ে থানায় পৌঁছায়। প্রথমে বিষয়টি সহজে কেউ বিশ্বাস করতে চাইনি কুড়ি বছর পর কিভাবে বাড়ির মেয়ে ফিরে আসলো তাতে পরিবার-সহ গ্রামবাসী হতবাক। বর্তমানে চন্দনা মন্ডলের বয়স ৩২ বছর। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও পুলিশের ভূমিকায় খুশি ভুতনি এলাকার মানুষজন।
শুক্রবার রাতে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়ার পর ভুতনি থানার উপস্থিতিতে চন্দনা মন্ডলকে তুলে দেওয়া হয় তার পরিবারের হাতে। হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে পেয়ে খুশি পরিবারের লোকজন।