এনএফবি, কলকাতা:
ভবানীপুরের গেস্ট হাউসে উদ্ধার এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দেহ। টেলিফোনের তার পেঁচিয়েই খুন করা হয়েছে তাকে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মুক্তিপণ চাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছে তার যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে।রাত সোয়া ১০ টায় মুক্তিপণ নেওয়া হয়েছে।
অপহরণকারীদের নির্দেশ মত ব্যবসায়ী হলুদ ট্যাক্সিতে ২৫ লক্ষ্যের বেশি টাকা দিয়েছিল। টাকা নেওয়ার পরেই ব্যবসায়ীর ফোন ছুঁড়ে পালিয়ে যায় ঐ ট্যাক্সি টি। গোয়েন্দারা সেই ফোন থেকে এক জনের মেসেজের হদিস পান। যে গেস্ট হাউস থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে ২০ নম্বর রুমে ছিলেন ব্যবসায়ী। আবার ওই ঘরেই আগে থেকে এক দিল্লির যুবকও থাকছিলেন এবং ব্যবসায়ীকে তার কাকার পরিচয় দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, যুবক ও ব্যবসায়ী পরস্পর পরস্পরকে চিনতেন। যুবকের সঙ্গে ভালোরকম ‘ঘনিষ্ঠতা’ ছিল ব্যবসায়ীর।
আরও পড়ুনঃ শিলদায় শহীদ স্মরণ,পাড়ায় শিক্ষালয় থেকে স্কুলের পথে প্রাথমিক পড়ুয়ারা
ফোনের সূত্র ধরেই গোয়েন্দারা উদ্ধার করলেন ব্যবসায়ীর মৃতদেহ। পরিবার জানান, প্রত্যেকদিনই বড়বাজারের দোকান থেকে ছেলের সাথে গাড়িতে ফেরেন ব্যবসায়ী। সেদিনও সন্ধ্যে ৬ টা ৪০ নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে পানের দোকানে যান তিনি। এরপরই সাড়ে ৭টা নাগাদ ল্যান্ডফোনে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। মুক্তিপণ না দিলে ‘আপত্তিকর ছবি’ ভাইরাল করার এমনকি গুলি করে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। শেষে অপহরণকারীদের দেওয়া ঠিকানায় রাত সোয়া ১০টা নাগাদ পৌঁছানো হয় মুক্তিপণ। কিন্তু মুক্তিপণ দেওয়ার পরেও ফেরেননি এস এল বৈদ্য। এরপরই মুক্তিপণ দেওয়ার কথা পুলিসকে জানায় পরিবার। তারপর ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে রাত দেড়টা নাগাদ হোটেলে পৌঁছয় পুলিস। উদ্ধার হয় ব্যবসায়ীর নিথর দেহ।