এনএফবি,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
শ্বশুর বাড়িতে ফিরিয়ে নেবার দাবিতে ওই বাড়ির সামনে ধর্নায় বসল গৃহবধু। আজ দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে তপন থানার আনাতৈর এলাকায়। যদিও ধর্নায় বসার আগে ক্ষুব্ধ ওই গৃহবধূ বারবার শ্বশুরবাড়িতে ঢুকবার জন্য বন্ধ দরজা খোলার জোর চেষ্টা চালিয়ে নিজের হাতকে রক্তাক্ত করে ফেললেও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন দরজা তো খোলেইনি,এমনকি পাড়া পড়শিরা পর্যন্ত এসে বিষয়টি বোঝাতে গেলে পরিবারের সবাই নিজেদের ঘরবন্দী করে রাখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।এলাকায় এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে।
তপন থানার আনাতৈর এলাকার বাসিন্দা শম্পা সরকার নামে ওই গৃহবধূ এবং তার দাদা রসিদুল সরকারের অভিযোগ এলাকার বাসিন্দা ইমরান আলি সরকার মিঞা নামে এক যুবকের সাথে ২০১৮ সালে পারিবারিক ভাবে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ইমরান ও তার পরিবারের লোকজন শম্পাকে মেনে নিতে পারেনি। সে কারণে তার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতো। এই নিয়ে তপন থানায় দু তিনবার অভিযোগ জানানো হলেও এই পরিস্থিতির কোন বদল হয়নি। তবে মাঝে পুলিশ দুই পক্ষকে ডেকে একটি মিটমাটের চেষ্টা চালিয়ে শম্পা সরকার নামে ওই গৃহবধূ কে তার শ্বশুরবাড়িতে সাংসারিক জীবন কাটানোর ব্যবস্থা করে দিয়ে গেলেও, অভিযোগ আজ ফের শম্পা সরকার নামে ওই গৃহবধূকে, তার স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
আর এরপরেই শম্পা সরকার তার শ্বশুর বাড়িতে ঢুকতে দেওয়ার দাবিতে প্রথমে ওই বাড়ির দরজায় বার বার ধাক্কা দিতে থাকে এমনকি ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নিতে শ্বশুরবাড়িরতে ইট ছুঁড়তেও দেখা যায় তাকে। এদিকে ততক্ষণে এলাকার লোকজনও ওই গৃহবধূর পরিবারের লোকজন চলে আসে ঘটনাস্থলে। সবাই মিলে শম্পার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে কথা বলে মীমাংসা করে নেওয়ার কথা বলতে চাইলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নিজেদের সব ঘরবন্দী করে নেওয়ায় আর তা করা সম্ভব হয় নি। বাধ্য হয়ে ওই গৃহবধূ শ্বশুরবাড়ি ঢুকবার দাবি জানিয়ে বন্ধ দরজার সামনে ধর্নায় বসে পরে। এলাকায় এই উত্তেজনা দেখা দিলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।