ক্রীড়া

নব্বই মিনিটে তিন গোল দেওয়া সম্ভব, বলছেন বাগান কোচ জুয়ান

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

আইএসএল ফাইনালে পৌঁছতে গেলে বুধবার হায়দ্রাবাদ এফসিকে দ্বিতীয় লিগের সেমিফাইনালে তিন গোলে হারাতে হবে এটিকে মোহনবাগানকে। সম্ভব কি, সেই কঠিন কাজকে সম্ভব করা! এদিন হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে নামার আগে সবুজ মেরুন কোচ জুয়ান ফেরান্দো জানান,”ফুটবলে সব কিছু সম্ভব। অবশ্যই কাজটা সোজা নয় এবং এটাই বাস্তব। তবে অসম্ভবও নয়। সে রকম ভাবেই পরিকল্পনা করতে হবে আমাদের। হায়দ্রাবাদ কী ভাবে খেলবে, সেটাও আমাদের দেখতে হবে। কিন্তু নিজেদের পরিকল্পনার ওপরই বেশি জোর দেব আমরা। আমাদের ফোকাস বজায় রাখতে হবে এবং জিততে হবে। হ্যাঁ, পরিস্থিতিটা মোটেই সহজ নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের একটা ভাল পরিকল্পনা করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী খেলতে হবে। এখানে মানসিকতাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। গত মাসটা আমাদের কোভিড, চোট, অসুস্থতা, কোয়ারেন্টাইনের মধ্যে দিয়ে কেটেছে। প্র্যাকটিস খুবই কম পেয়েছি আমরা। এখন আমাদের পুরোপুরি পেশাদার হতে হবে এবং আমাদের মনে হওয়া দরকার, আমরা পারব । রয় কৃষ্ণাকে আমরা নাম্বার নাইন হিসেবেই দেখা যেত কিন্ত এখন ডান অথবা বাঁ দিকে উইং বরাবর খেলতে দেখা যাচ্ছে ।”

এই মন্ত্রে কিন্তু রয় গোল করেছেন হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে প্রথম লিগের ম্যাচে। বুধবারও কি সেই কৌশল চলবে! জুয়ানের বক্তব্য,”রয় শেষবার যখন উইঙ্গার হিসেবে খেলেছিল, তখন সাফল্য পেয়েছে। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ভাল গোলও পেয়েছিল। হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধেও এ ভাবে খেলে গোল পেয়েছিল ও। জায়গা তৈরি করা ও তাকে কাজে লাগানোটাই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তাই রয়, উইলি, কাউকো, প্রবীর—এদের কাউকে নিয়েই কোনও সমস্যা নেই।” দলের ডিফেন্স সমস্যা ও সেটপিসে গোল খাওয়া নিয়ে বাগান কোচ জানাচ্ছেন, “কিছু কিছু সময়, খেলোয়াড়দের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভাল থাকে না। এটা খেলতে খেলতে হয়ে যায়। তবে সবসময় এই অজুহাত দেওয়া যায় না। ওদের আমি চিনি। ওদের চোখ-মুখ দেখে বুঝতে পারি, কতটা ক্লান্ত ওরা। তা ছাড়া মাঝে মাঝে ছোটখাটো ভুলও হয়ে যায়। কারণ, ফোকাস ঠিকমতো বজায় থাকে না। তাই গত ম্যাচে আমরা সমস্যায় পড়েছিলাম। ছোটখাটো ব্যাপারে সমানে ভুল হতে থাকলে ফোকাসটা নড়ে যায়। আসলে দলের ছেলেরা খুব ক্লান্ত। এখন আর প্রত্যেককে তাদের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার সময় নয়। এখানে প্রত্যেক খেলোয়াড়কেই খাঁচাবন্দী জীবন কাটাতে হয়েছে। সবসময় ঘরের মধ্যে থাকো । বাসে চড়ে মাঠে যাও আবার ফিরে এসো। এটা খুবই কঠিন জীবন। ব্যক্তিগত জীবনের প্রভাব মাঠেও তো পড়ে।” পুরো ফিট না থাকা সত্ত্বেও তিরি ও হুগো বৌমসকে মাঠে নামানো হবে প্রথম থেকে। একইসঙ্গে প্রথম লিগের হারের থেকে শিক্ষা নিয়ে মোহনবাগান কোচ তার পরিকল্পনাতেও আনবেন কিছু বদল।