এনএফবি, কলকাতাঃ
সমস্ত জল্পনার অবসান।কেষ্টতেই আস্থা কালীঘাটের। বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে বহাল অনুব্রত মন্ডল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অনুব্রত বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দী। এই অবস্থায় শুক্রবার কালীঘাটে বীরভূমের নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জল্পনা ছিল জেলা সভাপতি পদ নিয়ে। তবে বৈঠক শেষে জানা গেল দলীয় পদে বহাল থাকছে অনুব্রত।
তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বীরভূমে যাবেন ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক, নরেন্দ্র চক্রবর্তী। পাশাপাশি কয়েক জন আদিবাসী নেতৃত্বকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, বীরভূমের সংগঠনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাত জন সদস্যের একটি কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিল। সেই কোর কমিটি অটুট থাকছে।
সাম্প্রতিক কালে নিয়োগ দূর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলীয় মহাসচিব পদ হারাতে হয়েছিল। চলে গেছে মন্ত্রীত্বও। অন্যদিকে যুব নেতা শান্তনু এবং কুন্তল দল থেকে বহিষ্কৃত হলেও, বরাবর বীরভূম জেলা সভাপতির পাশেই আছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর কেষ্টর বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং তিনি নেতাজি ইন্ডোরের দলীয় সভা থেকে বলেছিলেন, “কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে।”
অনুব্রতর দায়িত্বে থাকা বীরভূম তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। রাজনৈতিক মহলের মতে, গ্রেফতারের পরেও সেখানে তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি বিরোধী শিবির। এই অবস্থায় জেলায় সংগঠনের পদে অনুব্রতকে বহাল রেখে তৃণমূল সুপ্রিমো নিজের কাঁধে তুলে নেওয়া সামগ্রিক ভাবে রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করেছে বিশেষজ্ঞ মহল।