অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
ডার্বির পরে বুধবার চেন্নাইন এফসি-র বিরুদ্ধে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করে হতাশ এসসি ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ মারিও রিভেরা। বুধবার তাদের জয় প্রাপ্য ছিল বলে মনে করেন তিনি। ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের কী বললেন রিভেরা? জেনে নেওয়া যাক।
আপনার কি মনে হয় ড্র ঠিক ফলই হয়েছে, নাকি আপনারা জিততে পারতেন?
উত্তরঃ একেবারেই ঠিক ফল হয়নি। আমাদের স্পষ্ট জেতা ম্যাচ ছিল এটা।
দ্বিতীয়ার্ধে আপনার দলের ছেলেরা অনেক ভাল খেলেছে…
উত্তরঃ দ্বিতীয়ার্ধে তো একটা দলই খেলল, এসসি ইস্টবেঙ্গল। ছেলেরা সবটুকু উজাড় করে দেয়। গতিময় ফুটবল খেলি আমরা। প্রচুর সুযোগও তৈরি করেছি আমরা। আমাদেরই ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল।
সিডোল ও হামতের গোলে আপনারা ড্র করলেন। মাঝমাঠই কি আপনাদের সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গা?
উত্তরঃ হতে পারে। তবে আমাদের দলের সব বিভাগই ভাল। সে রক্ষণ বলুন বা মাঝমাঠ বা আক্রমণ। হামতের জন্য আমি খুশি। ডার্বিতেও ও খুব ভাল একটা সুযোগ পেয়েছিল। তাই কিছুটা মনমরা ছিল। কিন্তু ছেলেটা খুব ভাল। সব সময় নিজের খেলায় উন্নতি করার জন্য মরিয়া। আমি খুশি যে দ্বিতীয় গোলটা ও পেয়েছে। ড্যারেনের গোলটাও দারুন। অনেকে ওর প্রতিভা নিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলেছিল। কিন্তু ও আজ দেখিয়ে দিল কত বড় মাপের ফুটবলার ও। আমিও জানতাম ও ফ্রি কিকে ভাল গোল করতে পারে। কারণ, ওকে আমি এরকম গোল করতে দেখেছি। ও আয়াক্সে খেলে আসা ফুটবলার। ওর জন্যও আমি খুশি।
আজ আপনাদের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার হীরা মন্ডলের দিনটা ভাল ছিল না। কী বলবেন?
উত্তরঃ ও ভাল খেলোয়াড়। তবে ওকে কিছু জিনিস এখনও শিখতে হবে। বিশেষ করে বল ক্লিয়ার করার সময়ের কিছু ব্যাপার। তবে ছেলেটা খুবই ভাল। শেখার প্রবল আগ্রহ আছে। ও শিখেও যাবে। আমার মনে হয় ও ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ।
আপনার কি মনে হয় এই দল লিগ টেবলে আরও ওপরে উঠতে পারে?
উত্তরঃ আমরা ডার্বিতেও জেতার জায়গায় চলে এসেছিলাম এবং এই ম্যাচটা তো আমাদেরই জেতার কথা ছিল। সুতরাং, আমার বিশ্বাস পরের ম্যাচগুলোতে আমরা জয়ে ফিরবই।
আরও পড়ুনঃ আর্থিক সংকট মেটাতে অফিস ভাড়া দেওয়ার বিজ্ঞাপন বিএসএনএল-র
অন্যদিকে, চেন্নাইন এফসি-র কোচ বোজিদার বান্দোভিচ স্বীকার করে নেন যে দ্বিতীয়ার্ধে খারাপ খেলার মাশুলই দিতে হয়েছে তাদের। ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের কী বললেন তিনি, তা নীচে দেওয়া হল।
আপনারা কি দু’গোলে এগিয়ে থাকার পরেও ছন্দটা ধরে রাখতে পারলেন না?
উত্তরঃ প্রথমার্ধে আমরা দারুন খেলেছি। দ্বিতীয়ার্ধে প্রথমার্ধের মতো অত ভাল খেলতে পারিনি। বেশি বল রাখতে পারিনি। কতগুলো পরিবর্তনও করতে হয় আমাদের। কোমানকে নিয়ে সমস্যা ছিল। এ ভাবে গোল খেলে চলবে না।
শেষ বাঁশি বাজার পরে দলের ছেলেদের খুব হতাশ লাগছিল। ওদের আত্মবিশ্বাসে কি বড় আঘাত লেগেছে আজ?
উত্তরঃ আত্মবিশ্বাসটা ফেরাতে হবে। প্রথমার্ধে যে ফুটবলটা খেলেছি আমরা, তা আত্মবিশ্বাস ছিল বলেই। দুটো গোল পাই আমরা। আরও গোল পেতে পারতাম। তবে ফুটবল এ রকমই। আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে। ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখতে হবে। এ ভাবে হারাটা খুবই বেদনাদায়ক।
সেমিফাইনালে ওঠার ক্ষেত্রে কত বড় বাধা হয়ে উঠতে পারে এই ড্র?
উত্তরঃ আজকে অবশ্যই জয় দরকার ছিল। এক পয়েন্ট পেলাম। আরও ছ’টা ম্যাচ বাকি। আমাদের সব কিছু উজাড় করে ম্যাচ জেতার চেষ্টা করে যেতে হবে।
আরও পড়ুনঃ খোঁচা খাওয়া বাঘের মত ফিরে চেন্নাই ম্যাচ ড্র লাল হলুদের