ক্রীড়া

বাগান তাঁবুতে উদ্বোধন হলো সবুজ মাঠের মেরুন গল্প

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

সবুজ মাঠের মেরুন গল্প। শতাব্দী প্রাচীন এই ক্লাবকে নিয়ে বই লিখলেন দুই সাংবাদিক, অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায় ও রূপক বসু। শুক্রবার মোহনবাগান ক্লাবের লনে উদ্বোধন হয়ে গেল এই বই। উপস্থিত ছিলেন মোহনবাগানের দিকপালরা। প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত ভট্টাচাৰ্য্য, শিশির ঘোষ ও সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় আবার বর্তমান মোহনবাগান সচিবও। তিনি বলেন,”মোহনবাগান ক্লাবের ওপর বই মোহনবাগান ক্লাব ছাড়া কোথাও উদ্বোধন হতে পারে না। অর্ঘ্য ও রূপককে ধন্যবাদ মোহনবাগানের মত ক্লাবকে নিয়ে দীর্ঘ ইতিহাস লেখার জন্য।” প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, “ভারতের ফুটবল নিয়ে কেউ ভাবে না। সাতের দশক, আটের দশক তো ছেড়েই দিলাম। নয়ের দশকের কোনো ছবি আমাদের কাছে নেই। অথচ ক্রিকেটের কত কিছু আছে। তাই একমাত্র বই পারে ইতিহাসকে জানাতে। আর মোহনবাগান ক্লাবকে তো আমি মহান বাগান বলি। এই ক্লাবকে লিখেছে ওরা ভালো না বলে উপায় নেই।” সুব্রত ভট্টাচাৰ্য্য জানাচ্ছেন,”আগে কি বিদেশী ছাড়া ফুটবল হত না! না আমরা গোল করতাম না! বরঞ্চ অনেক ভালো হত। এখনকার ছেলেরা যদি এমন অতীতের ইতিহাস পেয়ে কোনোভাবে অনুপ্রেরণা পায় ভালো লাগবে।” শিশির ঘোষ জানাচ্ছেন,”মোহনবাগান ক্লাব হলো আমাদের কাছে মন্দির। এই ক্লাবই আমাকে শিশির ঘোষ করেছে। সেই কারণে এই ক্লাবের অনেক অজানা কথা সাংবাদিকদের থেকে জানতে পারবো ভেবেও ভালো লাগছে।” মোহনবাগান ক্লাব ভারতীয় ফুটবলের মিথ। ১৯১১ আইএফএ শিল্ড ইংরেজদের হারানো থেকে ক্লাবে ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগো মারাদোনার পা রাখা সবকিছু সবার জানা।

সবুজ ঘাসের মেরুন গল্পে পাঠক নতুন কী পাবে! বইয়ের লেখক সাংবাদিক অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, “মোহনবাগান নিয়ে লিখতে গেলে বুকে ভয়ে করেছিল। সবাই তো সবকিছুই জানে। আমরা নতুন কী দিতে পারবো! তবুও সাহস করে লিখলাম । মোহনবাগান নাম কোথা থেকে এল! সপ্তপদী সিনেমায় উত্তম কুমারকে লাল হলুদ জার্সি দেওয়া হয় উনি সেটা পড়তে চাননি। কারণ সবুজ মেরুন রঙকে খুব পছন্দ করতেন। এছাড়া সমর্থকদের অনেক মিষ্টি প্রেমের গল্প। কর্মকর্তাদের অনেক অজানা কাহিনী আছে যা পাওয়া মুশকিল।” এদিন এই বইয়ের উদ্বোধনে বাগান সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। বইমেলায় শালিধান প্রকাশনের ৫১৩ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে বইটি।