স্থানীয়

ভর্তিই হননি হাসপাতালে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বিল ৩৭,৮০০

এনএফবি,পূর্ব মেদিনীপুরঃ

পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে উঠল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ, অভিযোগকারী পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের দ্বারিবেরিয়ার বাসিন্দা শংকর মান্নার। অভিযোগকারী শংকর মান্না জানান, তিনি এযাবৎ স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য কোনো অ্যাপ্লিকেশন জমা দেননি এবং তার কোনো কার্ডও নেই। তবুও গত ৩ রা জানুয়ারি তার ফোনে একটা এসএমএস আসে তিনি প্যারাডাইস ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামক একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন, এই এসএমএস তিনি গ্রাহ্য করেননি এবং পরবর্তীতে পাঁচ তারিখে তার ফোনে একটি ডিসচার্জের এসএমএস আসে এবং সাথে ৩৭৮০০ টাকার একটি বিল। মহিষাদল থানায় এ সম্পর্কিত অভিযোগ জানাতে গেলে তা নেওয়া হয়নি বলে তিনি জানান। পরে তিনি বিডিও অফিসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগকারীর স্ত্রী রুমা মাইতি মান্না জানান, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য তারা কোন লাইন বা কোনো দরখাস্ত জমা দেননি তবুও কী ভাবে কার্ড ইস্যু হল এবং কিভাবে তার স্বামীর কোন কিছু না হওয়া সত্ত্বেও হাসপাতালে ভর্তি এবং পরে ডিসচার্জ হলো তা নিয়ে তাঁরা ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন। সুবিচারের জন্য থানায় গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং আজ বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই বিষয়ে বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন ব্যানার্জি জানান, “এই সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার। এই সরকারের আমলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থেকে শুরু করে যা হয়েছে সমস্ত জালিয়াতি। ভুয়া বিল এবং কাটমানি নেওয়া এই সরকারের বরাবরের অভ্যাস।” যদিও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যসাথী দপ্তরের উপরেই এই দায় চাপিয়েছে। নামের ভুলেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের ম্যানেজার রাজনারায়ণ গাঁতাই জানান। অন্যদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।