স্থানীয়

পুকুরে বিষ! ক্ষতির পরিমাণ ১০ লক্ষ, অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে

এনএফবি, বালুরঘাটঃ

তৃণমূল নেতাকে দিঘিতে মাছ চাষ না করার হুমকি। হুমকি উপেক্ষা করে মাছ চাষ করায় তৃণমূল নেতার দিঘিতে বিষ ঢালার অভিযোগ। সন্দেহের তীর এলাকার বিজেপি কর্মীদের দিকে। দু’বছরের মধ্যে একই ঘটনা বারংবার ঘটায় স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকায় আশাহত তৃণমূল নেতা বললেন মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে তপন ব্লকের ২নং আজমাতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দাউদপুর গ্রামের।
দাউদপুর গ্রামেই রয়েছে দাউদপুর দিঘি। শরিকি মালিকনার অধীনে থাকা ঐ দিঘির মালিকদের মধ্যে অন্যতম হলেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী তথা তপন পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্য এবং তপন ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি মুকুল চন্দ্র দে।

মুকুল চন্দ্র দে-র অভিযোগ, তাদের রায়তি সম্পত্তি দাউদপুর দিঘিতে মাছ চাষ না করার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলেন স্থানীয় কিছু যুবক। তার বক্তব্য স্থানীয় গুটিকয়েক যুবকের হুমকি উপেক্ষা করে তিনি লিজ পদ্ধতিতে দিঘিটিতে মাছ চাষ করছিলেন। সোমবার তিনি দেখতে পান তার দিঘির সব মাছ, সাপ, ব্যাঙ মরে জলে ভেসে রয়েছে, তিনি বুঝতে পারেন তার দিঘিতে বিষ ঢালা হয়েছে। জানা জানিয়েছেন দিঘিতে বিষ ঢালার কারনে তার প্রায় ৬০ কুইন্টালের অধিক মাছ মরে যাওয়ার কারনে তার আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, তার দিঘিতে এর পূর্বেও বিষ ঢালার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় তৃণমূল নেতা মুকুল চন্দ্র দে তপন থানায় অলোক দে-সহ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মুকুল চন্দ্র দে-র পরিবারের সদস্যদের দাবী, অভিযুক্তদের মধ্যে স্থানীয় বিজেপি কর্মীও রয়েছেন। ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত বলেন, বিগত দু’ বছরে বারংবার একই ঘটনা ঘটায় আমরা বারবার স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও স্থানীয় প্রশাসন কোন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আমরা এই ঘটনায় জেলাপ্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দ্বারস্থ হব।

অপরদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে, এ দিন ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অলোক দে-র সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও খবর লেখার সময় অবধি উনি ফোন না ধরায় এই বিষয়ে উনার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

ঘটনা প্রসঙ্গে তপন থানার ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক গৌতম রায় জানিয়েছেন অভিযোগ হলে তদন্ত হবে, তারপরে বিষয়টি দেখা হবে।

নিউজ ফ্রন্ট বাংলার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।