অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
ফের লাইমলাইটে ভারতীয় ফুটবলের বিতর্কিত চরিত্র রঞ্জিত বাজাজ। অনেকদিন ধরেই ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনছিলেন মিনার্ভা পঞ্জাব কর্ণধার । বাজাজ কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় কখনও বা প্রকাশ্যে ।
আর এবার ফেডারেশন সচিব কুশল দাসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ আনলেন তিনি। শুধু তাই নয় তাঁর পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিলেন বাজাজ। বললেন ফেডারেশন সচিব পদ থেকে কুশল দাস সরে না দাঁড়ালে তাঁর গোপন তথ্য ফাঁস করে দেবেন ।
এআইএফএফ-এর সিনিয়র কর্তাদের দ্বারা অপমানিত হয়ে অ্যাক্টিং টিডি স্যাভিয়ো মেদেইরা পদত্যাগ করেছেন, এমন কথা শোনা মাত্রই মিনার্ভা কর্ণধার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁর দাবি, স্যাভিয়োকে হেনস্থা করেছেন অন্য কেউ নন, স্বয়ং ফেডারেশন সচিব কুশল দাস।
প্রো-লাইসেন্স কোচিংয়ের কেন্দ্র নিয়ে মতোবিরোধের জেরেই স্যাভিয়োকে হেনস্থা করা হয় এবং তিনি পদত্যাগ করেন বলে খবর শোনা যায়। ফেডারেশন এখনও তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি।
বাজাজ বলেন,তিনি বিনা পয়সায় মিনার্ভা পঞ্জাবের পরিকাঠামো প্রো লাইসেন্স কোচিং কোর্সের জন্য ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা পছন্দ নয় ফেডারেশন কর্তাদের একাংশের। তিনি জানান কোচেরা isl দলগুলির মাথায় থাকুন। তাই বিদেশি কোচেদের সমতুল্য যোগ্যতামানে পৌঁছনোর ব্যবস্থাই করে না তারা। ৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে এআইএফএফ কোনও প্রো-কোর্সের আয়োজন করেননি বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিদেশে গিয়ে এই কোচিং কোর্স করতে প্রত্যেকের অন্তত ১০ লক্ষ টাকা করে খরচ হবে বলেও জানান বাজাজ ।
….cont …Kushal Das RESIGN Or I will be revealing details about you which have been buried by @praful_patel #METOO #metooindia enuf is enuf-you are a monster who needs to be shut down-won’t allow you to ruin lives like this anymore-see @jaydeepbasu tweets on this matter…cont
— Ranjit Bajaj (@THE_RanjitBajaj) April 25, 2022
এছাড়া মহিলা কর্মীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ, নিজের সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দেওয়ার কথাও জানান। যদিও কুশল দাস এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, ফেডারেশন নির্দীষ্ট নিয়ম মেনে চলে এখানে তোষামোদ করার জায়গা নেই। তার বিরুদ্ধে কোনো কিছুই বাজাজ প্রমান করতে পারবেন না। ২০১৮ সালে আই লিগ জেতে রঞ্জিত বাজাজের মিনার্ভা। এরপর থেকে নানা বিষয়ে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে মতভেদ মতবিরোধ বাঁধে বাজাজের। এমনকি ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের বিরুদ্ধে তার ফুটবলারদের গড়াপেটার প্রস্তাবও দেন। এরপরে আই লিগ বাঁচানোর জন্য আন্দোলনও হয় বাজাজের নেতৃত্বে। তবে এরপরে ভারতীয় ফুটবল থেকে বাজাজ কার্যত একঘরে হয়ে যান।তার দলও আর আই লিগে নেই শুধু মাত্র আকাদেমি রয়েছে তার।এখন দেখার ফেডারেশনের বিরুদ্ধে রঞ্জিত বাজাজের আন্দোলন কতদূরে যায়!