এনএফবি, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
ভালোবাসার প্রতীক মানেই ফুলের রাণী গোলাপ। বাড়তি লাভের আশায় ভালোবাসার দিনটিকে সামনে রেখে বুক বাঁধছেন গোলাপ চাষিরা।শীতকালীন ফুল চাষের মধ্যে
গোলাপ ভালোবাসার সম্পর্কের মেলবন্ধন সৃষ্টি করে। আর তাই যুগল প্রেমিকরা একে অপরের গোলাপ তুলে দিয়ে ভালোবাসা বিনিময় করে।
পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার নস্করদিঘী, মাইশোরা, পারলঙ্কা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিঘার পর বিঘা নানান প্রজাতির গোলাপ চাষ হয়। মিনিপল প্রজাতির গোলাপ বেশি প্রচলিত, তাছাড়া গোল্ডেন, ইতালি-সহ বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ ফুল চাষ করে থাকেন চাষিরা।
অন্যান্য দিনের তুলনায় ভ্যালেন্টাইন্স-ডে এর সময় বেশি দাম পায় চাষীরা। বিক্রিও বাড়ে। সারা বছর একটি গোলাপ ২ থেকে ৩ টাকায় বিক্রি হলেও ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র সময় ৭ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত দাম ওঠে।
ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ আসার আগে গোলাপ বাগান থেকে ফুল কেটে কোলাঘাট, হাওড়া, দেউলিয়া-সহ স্থানীয় ফুল বাজারে চাষিরা গোলাপ ভালো দামে বিক্রি করেন তাঁরা। গত দুই বছর করোনা মহামারীতে লকডাউনের সময় গোলাপ বিক্রি করতে পারেনি চাষিরা, তবে করোনা মুক্ত বর্তমান সময়ে শীত কাটিয়ে বসন্তের শুরুতে কিছুটা গরম পড়তেই বাগানে গোলাপের ফলনও ভালো মত হয়, তাঁর ওপর ওই দিনটিকে সামনে রেখে বিক্রি হয় ভালো দামে। রুজির টানে বাড়তি লাভের সম্ভাবনা ব্যস্ত ফুল চাষিরা।