অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
খারাপ সময় যেন পিছু ছাড়ছে না এটিকে মোহনবাগান গোলমেশিন রয় কৃষ্ণর। প্রথমে শাশুড়ি মারা যায়, যার ফলে যুবভারতীতে এএফসি কাপে শ্রীলঙ্কা ব্লু ষ্টার ও ঢাকা আবহনী ম্যাচে খেলতে পারেননি রয় । আর এবার বাবাকে হারালেন ফিজির এই তারকা ফরোয়ার্ড । গত সোমবার মারা যান রয়ের বাবা।
ফলে মে মাসে যুবভারতীতে এএফসির বাকি ম্যাচ গুলোতে সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে রয়ের মাঠে নামা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন!
তবে রয় দলের হয়ে মাঠে নামতে মুখিয়ে রয়েছেন। জানা যাচ্ছে আগামী ২৬ এপ্রিল এটিকে মোহনবাগান শিবিরে যোগ দেবেন রয়। প্রথমে শাশুড়ির মৃত্যুর কারণে দেশে থেকে যেতে হয়েছিল রয়কে। যার ফলে প্রিলিমিনারি ম্যাচে ব্লু স্টার এসসি এবং প্লেঅফসে ঢাকা আবাহনীর বিরুদ্ধে খেলেননি।
তবে এই ফিজিয়ান আদৌ প্রথম একাদশে সুযোগ পাবেন কিনা, সে নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। প্রথমত রয় নিজের চেনা ফর্মের ধারে কাছে নেই। আর দ্বিতীয়ত গত দুই ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানের চার বিদেশীই বেশ ভালো খেলেছেন। ডিফেন্সে তিরি, মাঝমাঠে হুগো বৌমোস ও জনি কাউকোর দুর্দান্ত কম্বিনেশন, আর ফরোয়ার্ডে ডেভিড উইলিয়ামস ।
আর সাংবাদিক বৈঠকেও রয়কে খেলার ইচ্ছা বাগান কোচের মুখে শোনা যায়নি। এটিকে মোহনবাগান এএফসি কাপের মূলপর্বে ‘ডি’ গ্রুপে জায়গা করে নেয় , যেখানে উঠে রয়েছে গোকুলাম কেরালা, বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস ও মালদ্বীপের মাজিয়া এসআরসি। গ্রুপ পর্বের এই ম্যাচগুলি হবে ১৮ মে থেকে কলকাতায়। এই পর্বে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলার পরে গ্রুপের এক নম্বর দল ইন্টার জোন প্লে অফ সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। গত বারও এই স্তর পর্যন্ত উঠেছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু সফল হতে পারেনি। এ বার আইএসএলে প্রচুর বাধা বিপত্তি কাটিয়ে মাঠে নামতে হয়েছে রয়কে। প্রথমত সন্তানসম্ভবা স্ত্রী-র অসুস্থতা, তার পরে তাঁর পড়তি ফর্ম, তার ওপর চোট ও কোভিডে আক্রান্ত হওয়া—সব মিলিয়ে এ বারের লিগ তাঁর খুব একটা ভাল কাটেনি। ১৬টি ম্যাচে সাতটি গোল করেন ও চারটি করান। তাঁর গোলের সুযোগ থেকে গোল করার হার (গোল কনভারশন রেট) ছিল ১৯ শতাংশ। গত বছর ২৩ ম্যাচে ১৪টি গোল ও ৮টি অ্যাসিস্ট ছিল তাঁর। আইএসএল কেরিয়ারে যেখানে তাঁর গোল কনভারশন রেট ২৩%, সেখানে এ বারের ১৯ শতাংশ সেই তুলনায় তেমন ভাল নয়।