অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
বঙ্গভঙ্গই বলা ভালো। বাংলার দুই তারকা ঋদ্ধিমান সাহা আর মহাম্মদ সামি । এই দুজনই নামবে নিজেদের ঘরের মাঠ ইডেনে প্রথম প্লে অফে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে। তবে মমতার কলকাতার হয়ে না মোদীর গুজরাতের হয়ে। আর এই দুজনই চেনা ক্রিকেটের নন্দন কাননে কামাল দেখাতে মরিয়া। সামি ভারতীয় দলে থাকলেও ঋদ্ধি বয়সের অজুহাতে দল থেকে বাদ। নিজের সেরা ফর্মি আছেন আইপিএলে। এদিন অনুশীলন করলেন। নিজের ঘরের মাঠে নামার আগে জানালেন,”আমি বলতে পারি গুজরাতের প্রতিনিধিত্ব করছি। নিজের দলকে জেতানোর জন্য সব করতে পারি। তার পরে ল্যান্ডমার্ক নিয়ে ভাবি না। তা ছাড়া ভারতীয় দলে নির্বাচন হল কি হল না তা নিয়ে আমি চিন্তা করি না। কোয়ালিফায়ারে আমরা কী করব সেটাই আসল।”
এরপরে তিনি জানাচ্ছেন,”আমি একেবারেই ফিট। ম্যাচের জন্য তৈরি। আমার কাজ পাওয়ার প্লেতে দলকে এগিয়ে দেওয়া। এটাই করে এসেছি প্রত্যেক বার। প্রথম ছয় ওভারে যদি পার্টনারশিপ ভাল হয়। তা হলে দলও বড় রান পেয়ে যাবে।” ইডেন নিয়ে সাম্প্রতিক বঙ্গ ক্রিকেট কর্তাদের সঙ্গে বিতর্ক আর না খেলতে চাওয়া নিয়ে তিনি বললেন,আপাতত এটা আমার অ্যাওয়ে গ্রাউন্ড। আমি এটা নক-আউট ম্যাচ হিসেবে দেখছি। এখন মোতেরা আমার হোম গ্রাউন্ড। ইডেনে আমি অ্যওয়ে ম্যাচ খেলতে এসেছি। আপাতত যা খবর ওপেন করবেন ঋদ্ধি।”
সামি জানাচ্ছেন, “অভিজ্ঞতাই সব চেয়ে জরুরি। সাদা বল দু’-চার ওভার সুইং করে। আমি সদ্ব্যবহার করতে চাই । প্রথমেই কয়েকটা উইকেট পেতে চাই।” রাজস্থানের বিস্ফোরক ব্যাটার জসবাটলারকে আটকানো নিয়ে তিনি বললেন,”আমি জানি ও কোথায় শট খেলে। ওর কি দুর্বলতা ।বাটলারকে আউট করার জন্য আমারই ভাল ঘুম দরকার। কে কত রান পেয়েছে সেটা ভেবে বল করতে যাই না। নিজের স্কিলের উপরে বিলিভ করি। আমি দেখি না অপোনেন্টে কে ব্যাট করছে। ইডেনের পিচ তো খুশি তো হবেই। হোমটাউন বলেই এতটা খুশি আমি। এত ম্যাচ এখানে খেলেছি। ইডেনের বিষয়টাই হচ্ছে ক্রাউড।”
গুজরাত দলের বোলিং কম্বিনেশন নিয়ে তিনি জানান, “আমি কখনওই এত কিছু নিয়ে ভাবি না। কম্বিনেশন হিসেবে বোলিং পার্টনার হিসেবে যাদের সঙ্গে সারা মরশুম খেলেছি। তাদের নিয়েই খেলা উচিত। ওদের উপরেই আত্মবিশ্বাস দেখানো উচিত। হতে পারে উইকেট পরিবর্তন করেছে।”