অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
মা হলেন টেনিস রুশ সুন্দরী মারিয়া শারাপোভা। এদিন ইন্সট্রাগ্রামে নিজের বাগদত্তা আলেকজান্ডার গিলকেসের সঙ্গে নিজের ও নবজাতক পুত্রের ছবি দিয়ে ছেলের জন্মের কথা ঘোষণা করেন । ছেলের নাম রেখেছেন থিওডোর। ক্যাপশনে লেখেন
“থিওডোর VII•I•MMXXII সবচেয়ে সুন্দর, চ্যালেঞ্জিং এবং পুরস্কৃত উপহার যা আমাদের ছোট্ট পরিবার চাইতে পারে” ৷
২ বছর ধরে মেলামেশার পরে গিলকেস আর শারাপোভা ২০২০ সালে বাগদানে আবদ্ধ হন। ইন্সট্রাগ্রামে খোলামেলা পোশাকে নিজের ছবি দেওয়ার জন্য বেশ জনপ্রিয় মাশা। কিছুদিন আগেও অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নিজের ছবি দেন যা দ্রুত গতিতে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর তিনি যে ৩৫ বছর বয়সে মা হচ্ছেন গত ১৯ এপ্রিল নিজের জন্মদিন প্রকাশ করেন। সে দিনই ইনস্টাগ্রামে নিজের ছবি দিয়ে লিখেছিলেন, ‘শুরুটা মূল্যবান। দু’জনের জন্য। জন্মদিনের কেক খাওয়া সব সময়ই আমার জন্য স্পেশ্যাল।’ এরপরেই অপেক্ষা ছিল ছিল বিশ্বের প্রাক্তন এই এক নম্বর তারকা কবে মা হবেন। অবশেষে এলো এই মুহূর্ত।
মাত্র ৩২ বছর বয়সেই অবসরের কথা ঘোষণা করেন রাশিয়ার টেনিস-সুন্দরী মারিয়া শারাপোভা। তিনি জানিয়েছিলেন,‘একমাত্র যে জীবনটাই জেনে এসেছি, সেটা কীভাবে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাব? আমি ছোটবেলা থেকে যে কোর্টে অনুশীলন করে এসেছি, সেটা কীভাবে ছেড়ে যাব? যে খেলাটা ভালবাসি, যেটা অব্যক্ত কান্না ও অকথিত আনন্দ এনে দিয়েছে, যে খেলাটার মধ্যে পরিবারকে খুঁজে পেয়েছি, ২৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে অনুরাগীরা আমার পিছনে দৌড়েছে, সেটা কী করে ছেড়ে যাব? আমার কাছে এটা নতুন বিষয়। আমাকে দয়া করে ক্ষমা করে দাও টেনিস। আমি বিদায় জানাচ্ছি।’
পাঁচটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা শারাপোভা একসময় বিশ্বের এক নম্বর মহিলা টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন। রাশিয়ার একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনি চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামই জেতেন। ২০০৪ সালে উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হয়ে তিনি সারা বিশ্বের টেনিসপ্রেমীদের নজর কেড়ে নেন। এরপর ২০০৬ সালে ইউএস ওপেন, ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং ২০১২ ও ২০১৪ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন জেতেন তিনি। ২০১৬ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে তিনি নির্বাসিত হন। সেই নির্বাসন কাটিয়ে তিনি কোর্টে ফিরলেও, সাফল্য পাননি।এরপরেই তিনি অবসর নেন আর তারপরেই বাগদান সেরে ফেলেন।