ক্রীড়া

মোহনবাগান স্পোর্টস লাইব্রেরি উদ্বোধনে আইএফএ ও সিএবিকে একহাত ক্রীড়ামন্ত্রীর

এনএফবি, স্পোর্টস ডেস্কঃ

ভাষা দিবসে স্পোর্টস লাইব্রেরি করার কথা গত মাসে ঘোষণা করেছিলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। তাঁর কথা মতোই ভাষা দিবসেই প্রখ‍্যাত সাহিত‍্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ‍্যায়ের হাত দিয়েই মোহনবাগানের স্পোর্টস লাইব্রেরির পথ চলা শুরু হল।

সম্প্রতি শিবরাত্রির দিনে নিজেদের স্পোর্টস লাইব্রেরি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছেন ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা। তাই নিয়ে মঞ্চে বক্তব‍্য রাখতে গিয়ে টিপ্পনি কাটলেন দেবাশিস দত্ত। তাঁর কথায়, “আমাদের নতুন কমিটি গঠন হওয়ার পর স্পোর্টস লাইব্রেরি করার প্রথম প্রস্তাব দিয়েছিলেন কুনাল ঘোষ। হঠাৎ করে ক’দিন আগে ময়দানের একটি ক্লাব তাঁদের স্পোর্টস লাইব্রেরি উদ্বোধন করে দিল। ওই স্পোর্টস লাইব্রেরিতে ৭০ শতাংশ স্পোর্টস আর ৩০ শতাংশ সাহিত‍্যর বই আছে। আমাদের কিন্তু শুধু স্পোর্টস নিয়ে বই আছে। আমাদের সদস‍্য ছাড়াও যে কেউ এসে আমাদের লাইব্রেরিতে বই পড়তে পারবেন।”

এ দিন লাইব্রেরি উদ্বোধনের পর মোহনবাগান লনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে সংবর্ধনা দেওয়া হল সাহিত‍্যিক শীর্ষেন্দু মুখার্জিকে। তিনি বক্তব‍্য রাখতে গিয়ে বলেন, “আমরা বাংলাদেশের লোক। দেশ ভাগের সময় ভিটে-বাড়ি ফেলে এখানে চলে এসেছিলাম। দেশ ভাগের আগে যৌবন কাল থেকেই বাবা মোহনবাগান সমর্থক ছিলেন। কারণ তখন ইস্টবেঙ্গল তৈরি হয়নি। আমি ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক। তবে এটা মানতে হবে, মোহনবাগান ক্লাবের সঙ্গে জাতীয়তাবোধ জড়িয়ে আছে। আমি এই প্রথম মোহনবাগান ক্লাবে এলাম। খুব সুন্দর সাজানো গোছানো এই ক্লাব। স্পোর্টস লাইব্রেরি কিন্তু অনেক জায়গায় আছে। কিন্তু এখানে শুধু স্পোর্টস নিয়েই লাইব্রেরি। মোহনবাগানের এই উদ‍্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন,”ইদানিং লক্ষ‍্য করছি এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা স্পোর্টস নিয়ে পড়াশোনা করছে। মোহনবাগান যে এমন একটি পূর্ণাঙ্গ লাইব্রেরি সবার কাজে লাগবে।”

এ দিন লাইব্রেরি উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন সৃঞ্জয় বসু। ক্লাবের এই উদ‍্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সত‍্যজিৎ চ‍্যাটার্জি, অসিত চ‍্যাটার্জি, স্বপন ব‍্যানার্জি, কুনাল ঘোষ প্রমুখ।

YouTube player

1 thought on “মোহনবাগান স্পোর্টস লাইব্রেরি উদ্বোধনে আইএফএ ও সিএবিকে একহাত ক্রীড়ামন্ত্রীর

Comments are closed.