ফিচারস্বাস্থ্য

‘রেফার রোগ’ বন্ধে কড়া স্বাস্থ্য ভবন, চালু হবে ই-প্রেসক্রিপশন

এনএফবি, কলকাতাঃ

রাজ্যের হাসপাতাল গুলির রেফার রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে তৎপর স্বাস্থ্য দফতর। সব হাসপাতালে চালু হচ্ছে ই-প্রেসক্রিপশন। যথেষ্ট সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, ওষুধ ও সাজসরঞ্জাম থাকা সত্ত্বেও রোগী রেফার হলে দায়ী থাকবেন ডেপুটি সুপার পদের এক আধিকারিক। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের দায়বদ্ধতা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
জরুরি বিভাগে রোগী এলেই ই-প্রেসক্রিপশন চালু হবে। সেই প্রেসক্রিপশন চলে আসবে মেডিক্যাল সুপারের কাছে। যে হাসপাতালে রোগীকে রেফার করা হবে সেখানে যথেষ্ট ব্যবস্থা আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে হবে। ফোন করে জানাতে হবে রোগীর নাম, রোগ, অ্যাম্বুলেন্সের নম্বর।
রবিবার জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে এ কথা জানান স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ও স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। কোনও গাফিলতিকে স্বাস্থ্য ভবন হালকা ভাবে নেবে না তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
বৈঠকে আরও জানানো হয়েছে, রেফার রোগীকে আগে স্তিতিশীল করতে হবে। জরুরি বিভাগ থেকে রোগী রেফার করা হলে পুরো বিষয়টি ই-প্রেসক্রিপশন করে সব সরকারি হাসপাতালকে জানাতে হবে। রেফার রোগীর মৃত্যু বা অবনতি হলে দায় ডেপুটি সুপার এবং সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল অফিসারের। সার্ভিস রুল মেনে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা, প্রয়োজনে রেজিস্ট্রেশন সাসপেন্ডের সুপারিশ করা হতে পারে। গরহাজির হলে অনুপস্থিত হিসাবে গণ্য করা হবে। এমএসভিপি থেকে অধ্যক্ষ। প্রধান থেকে ইন্টার্ন সব চিকিৎসককে সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করতে হবে। সাপ্তাহিক কাজের হিসাব স্বাস্থ্যকর্তাকে পাঠাতে হবে। কোনও চিকিৎসক নিয়ম না মানলে সরাসরি স্বাস্থ্য কর্তাকে জানাতে হবে। প্রথমে সতর্ক করা হবে, পরে বিভাগীয় তদন্ত ও বদলি, এমনকি সার্ভিস রুল অনুযায়ী ব্যবস্থা। এ দিনের বৈঠকে ৯০ টি হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়।