জেলা

স্বাধীন মৎস্যজীবী পেশায় আকর্ষণ বাড়ছে শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়ের

এনএফবি, পূর্ব মেদিনীপুরঃ

লজ্জা নয় বরং মাছ ধরার পেশায় আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেন শিক্ষিত যুবক সম্প্রদায়। টেকসই মৎস্য আহরণের পাঠ দেওয়া হচ্ছে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের মৎস্য বিভাগ। নৌকো নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার নানা সরকারি নিয়মাবলী প্রত্যন্ত নদী তটে ঘুরে ঘুরে মৎস্যজীবীদের বোঝালেন মৎস্যচাষ সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু। পাশাপাশি মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে হচ্ছে ছোট ছোট সভা। হলদি ও হুগলি নদী ধরে এই ব্লকে পেশাগত ভাবে মৎস্য আহরণে মৎস্য জীবীদের সংখ্যা বাড়ছে। ঠিক তেমনি কমবয়সী শিক্ষিত যুবক মাছ ধরাকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছে।

মলয় বর্মন, মৎস্যজীবী। নিজস্ব চিত্র

এমনি কম বয়সী কয়েকজন সুরজিত দাস, সনজিত মন্ডল, বিজয় দাস, গাংরা চরের মলয় বর্মন প্রমুখরা নদীতে মাছ ধরা পেশা হিসেবে নিয়েছেন। তালপাটি, ধুসা, কাঁটাখালি, আসিমেনিয়ার, কেন্দেমারি-সহ প্রভৃতি খাল ধরে নদীতে যায় মৎস্যজীবিদের নৌকা।

মৎস্য দপ্তরের সমীক্ষায় এসেছে কেন্দেমারি, কাঁটা খালি, সাউদ খালি ও গাংরাচর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। জেলে পরিবার ছাড়াও এলাকার অনেক যুবক বেছে নিচ্ছে মাছ ধরা পেশা।

নিজস্ব চিত্র

মৎস্যজীবী মলয় বর্মন জানান, তিনি মহিষাদল রাজ কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করার পর মাছ ধরাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। এখানে উপার্জন ভালো হওয়ায় আনন্দে আছেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি বেকার যুবকদের এই পেশার স্বাধীনতার কথা জানান। তিনি আরও বলেন, নতুন নৌকা করতে গেলে ২ লক্ষ টাকা লাগলেও পুরোনো নৌকা কিনে সারিয়ে নিলে ১ লাখ টাকা লাগে। ইলিশ নৌকা করতে মূলধন একটু বেশি লাগে বলে জানায় মলয়। তিনি জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে মাছ ধরেন। মৎস্যজীবী পরিচয় পত্র করেছেন নৌকাও রেজিস্ট্রেশান করেছেন বলে জানান তিনি।

সুরজিত দাস বলেন, মৎস্য বিভাগ থেকে তিনি জেনেছেন মাছ আহরণের পাশাপাশি মাছের বংশরক্ষা ও শুশুক রক্ষা করা সহ পরিবেশবান্ধব মাছ শিকারের পদ্ধতি।
নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, তারা নদী উপকূলবর্তী এলাকার মৎস্য জীবিদের চিহ্নিত করণ করে নৌকা রেজিস্ট্রেশান লাইসেন্সিং এর বিষয় যেমন বোঝান। সাথে টেকসই মৎস্য আহরনের পাঠ ও পড়ানো হচ্ছে। আর এই কাজে সহায়তা করছেন শিক্ষিত তরুন মৎস্যজীবিরা। পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ মৌসুমি পানি বলেন, ব্লক মৎস্য আধিকারিক কেন্দেমারি থেকে গাঙরা নদী চর এলাকা পরিদর্শন ও সভা করছেন ফলে মৎস্যজীবিদের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিচ্ছে।