এনএফবি, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
হলদিয়া ২৭নং ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচক ও সাওতানচক গ্রামে খুশির হাওয়া। নতুন বছর শুরুতেই বাড়িতে বাড়িতে এল বিদ্যুতের সংযোগ। কেটে গেছে স্বাধীনতার পঁচাত্তরটি বছর। তবুও এতদিন ছিল না গ্রামে বিদ্যুতের সংযোগ। রাতের অন্ধকারে আলোর একমাত্র অবলম্বন ছিল কেরোসিনের লম্ফ, হারিকেন একমাত্র। দুটি গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ৫০০ পরিবারের বসবাস। বেশ কিছু বাড়িতে সোলারের মাধ্যমে আলো জ্বলে উঠলেও বেশিরভাগ বাড়ি রাতের অন্ধকারে ডুবে যেত।
সন্ধ্যা ঘনালেই আঁধার নামত। অবশেষে রাতের অন্ধকার ঘুচল বৈদ্যুতিক আলোতে। ২০২৩ সালের শুরুর দিন থেকেই বিষ্ণুরামচক ও সাঁওতালক গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে গেল বৈদ্যুতিক মিটারের সংযোগ। রাতের বেলায় জ্বলে উঠল বিদ্যুতের আলো। আর তাতেই খুশির হাওয়া এলাকায়।
স্থানীয় গৃহবধূ পাপিয়া ধাড়া, এলাকার কলেজ পড়ুয়া মোর্তাজা গোলাম আলি-সহ খুশি বয়স্ক থেকে কচিকাঁচার। ২০২৩ সালের শুধু আগেও পর্যন্ত যাদের সামান্য মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য নিকটবর্তী বাজারে যেতে হত। এমনকি টাকার বিনিময়ে দোকানে মোবাইলের চার্জ করতে হত। এবার তা আর না বাড়িতেই মোবাইল চার্জ করাতে পারবে যখন তখন।
বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় শুধু মোবাইল চার্জ নেই বেশিরভাগ বাড়িতেই নেই বিনোদনের মাধ্যম অর্থাৎ টিভি। গৃহবধূরা জানান সংসারের কাজকর্ম করতে রাতের অন্ধকারে অসুবিধা হত। দিনের আলোয় থাকতে থাকতে সমস্ত কাজ সেরে ফেলতে হত। শুধু তাই নয় ওই এলাকার ছাত্র ছাত্রীদের বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এতদিন অসুবিধা মুখোমুখি হতে হয়েছে। বেশিরভাগ ঘরেই রাতের বেলায় পড়াশোনার একমাত্র মাধ্যম ছিল কেরোসিনের শিখা। বেশ কিছু ঘরে সোলারের মাধ্যমে আলো জ্বালা হলেও তার উজ্জ্বলতা অনেক কম ছিল। পড়াশোনা করতে অসুবিধা হত। কিন্তু এবার আর সে অসুবিধা নেই। এলাকার ছাত্রছাত্রীরা উদ্যোগই ঠিকঠাক পড়াশুনার মাধ্যমে পরীক্ষায় আরও ভাল ফল করতে।