এনএফবি, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
নদীগর্ভে চলে গিয়েছে একাধিক চাষযোগ্য জমি। ধীরে ধীরে আরও কৃষিযোগ্য জমি সহ গ্রাম গ্রাস হওয়ার আশঙ্কা করছে গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের এই সমস্যার সমাধান না করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শুরু হয়েছে একের ওপর অপরের কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি । এরই মাঝে আতঙ্কে রয়েছে গ্রামবাসীরা। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর ১ নম্বর ব্লকের বড়কোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা খাসতালুক গ্রামে।
জানা গিয়েছে, গ্রামের অধিকাংশ মানুষই চাষের উপর নির্ভরশীল। আর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কাঁসাই নদী। আর নদীর তীরবর্তীতে রয়েছে চাষযোগ্য জমি। কিন্তু নদী ভাঙনের ফলে ৭ বিঘা চাষযোগ্য জমিতে চাষ বন্ধ। ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে নদী ভাঙন। যার ফলে রীতিমতো সমস্যা সহ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে গ্রামবাসীরা। সামনেই বর্ষা, আর এই বর্ষাতে নদীতে জলের স্রোত বাড়ে। হয়তো এই নদীর স্রোতে ধীরে ধীরে গ্রাস করতে পারে একাধিক জমি সহ গ্রাম। এই নিয়ে অবশ্য বহুবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। রাজ্যে ক্ষমতায় শাসক দল থাকলেও বড়কোলা গ্রাম পঞ্চায়েত গেরুয়া শিবিরের দখলে। তাই গ্রামবাসীদের এই সমস্যা নিয়ে শুরু হয়েছে একে অপরকে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, “বহুবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। ধীরে ধীরে হয়তো চাষযোগ্য জমি সহ পুরো গ্রাম গ্রাস করে ফেলবে নদী।”
যদিও এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের এস. টি সেলের রাজ্য নেতা পিকু মান্ডির অভিযোগ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য এবং প্রধান বিজেপি। ওনারা না মেরামত করার জন্যই ধীরে ধীরে বৃহৎ আকার ধারণ করছে নদী ভাঙন । পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছেন, উপর তলা থেকে নীচ তলা পর্যন্ত দুর্নীতি করতে ব্যস্ত বিজেপি নেতারা। অন্যদিকে বড়কোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান স্বপন বেরা বলেন, “আমরা খবর নিয়ে শুনলাম সামান্য নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। যদিও গ্রামবাসীদের তরফ থেকে কোনো লিখিত আকারে আসেনি। যদি লিখিত আকারে আসে আমরা তাহলে চিন্তাভাবনা করবো কি হয় কি না হয়। তবে এই ধরণের কাজ জেলা পরিষদ করে। প্রধান এসব কাজ করে না। আর আমাদের ওখানে হাত দিতে দেবে না। যদি কেউ বলে থাকে তাহলে রাজনৈতিকভাবে আমাদেরকে হ্যারাসমেন্ট করা হচ্ছে। আমাদেরকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।”