এনএফবি, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
রাজ্য রাজনীতি যখন ‘প্রভাবশালী’ তকমা নিয়ে শোরগোল তখন বালুরঘাটে এক প্রভাবশালী সিভিক ভলান্টিয়ারের উপর ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
জানা গেছে, অভিযুক্তের প্রভাবে পানীয় জল যাচ্ছে চাষের জমিতে। রবিবার অভিযোগ ওঠে বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নক্সা গ্রামের বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে।
জানা গেছে, ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নকশা, মাঝিগ্রাম, সাঁতরাই গ্রামের পানীয় জলের পিএইচপি এর পাইপলাইন রয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মাধ্যমে গ্রামগুলিতে জল দেওয়ার কথা থাকলেও নিয়মিত জল পাননা বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। অথচ সেই জল দেওয়া হচ্ছে চাষের জমিতে। এলাকায় সেচ দপ্তরের প্রচুর শ্যালো রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সেই জলের টাকা বাঁচাতে নিজের জমিতে জল দিচ্ছেন পিএইচই’র এর পাম্প অপারেটর শ্যামল মন্ডল।
গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, শ্যামল মন্ডলের ছেলে সঞ্জয় মন্ডল বালুরঘাট থানার কর্মরত সিভিক ভলেন্টিয়ার। সঞ্জয় মন্ডল নিজের প্রভাব খাটিয়ে এই কাজ করছেন। গ্রামবাসীরা জানান বেশিরভাগ সময় অপারেটর থাকে না, তার ছেলে সঞ্জয় মন্ডল জলের মেশিন চালান এবং নিজের প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের জমিতে জল নেন। পাশাপাশি প্রভাব খাটিয়ে পি এইচ ই পাম্পিং স্টেশন চত্বরেই গোয়াল ঘর পর্যন্ত বানিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও শ্যামল মন্ডল এবং তার ছেলে সঞ্জয় মন্ডল গ্রামবাসীদের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সঞ্জয় মন্ডল গ্রামবাসীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
অপরদিকে পাম্প অপারেটর শ্যামল মণ্ডল জানান, তার ছেলে নয় তিনিই পাম্প চালান, ওয়াশ করার জন্য ওই জল মাঝে মধ্যে ছাড়া হয়।
এদিন এই ঘটনার প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা ওই পি এইচ ই পাম্পিং স্টেশনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এলাকায় পৌঁছান তৃণমূল পরিচালিত ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে বলে জানান।
এদিকে এই ঘটনায় একই সাথে সরব হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি। উভয় দলের পক্ষ থেকেই পানীয় জল চাষের জমিতে দেওয়ার বিরোধিতা করা হয়।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, সমস্ত ঘটনা তিনি শুনেছেন। একইসাথে গ্রামীণ অঞ্চলে সিভিক ভলেন্টিয়ারেরা এই ভাবেই প্রভাব বিস্তার করে অনৈতিক কাজ করে চলেছে বলে তিনি জানান। এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতার পাশাপাশি তদন্তেরও দাবি জানান তিনি।