বিজেপিতে যোগদানের পরিপ্রেক্ষিতে আবাস যোজনার ঘর অমিল,দিন যাপন ভাঙা ঘরে

এনএফবি,পূর্ব মেদিনীপুরঃ

বিজেপিতে যোগদানের অপরাধে মিলছে না প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি‌। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পাঁশকুড়া পুরসভা এবং দুয়ারে সরকারের ক‍্যাম্পে ঘুরেও মিলছে না বাড়ি। বসত বাড়িটির প্রায় ভগ্নপ্রায় অবস্থা ৷ যে কোনো মুহুর্তে বাড়ি ধসে পড়ে ঘটতে পারে বিপদ। পাঁশকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জর্দা গ্ৰামের বাসিন্দা চন্দন রায়ের অভিযোগ, গত বিধানসভা ভোটে তিনি বিজেপির পোলিং এজেন্ট ছিলেন তাই পুরসভা এবং পুর প্রধানকে জানিয়েও মিলছে না বাড়ি। বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় ধরেছে ফাটল। দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে তাদের। যদিও প্রতিবেশীরাও চাইছে চন্দন বাড়িটি পাক। দুই সন্তান, স্ত্রী, পুত্রকে নিয়ে এই ভাঙাচোরা ঘরেই দিন কাটছে চন্দনের। নেই সাধ‍্য তাই বাড়ি নিমার্ণ করতেও পারছে না সে তাই প্রতীক্ষায় রয়েছে আবাস যোজনার বাড়ির।

যদিও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুকুমার ভূঞ‍্যার দাবি -“২০২১ সালে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যাওয়ার পরে বতর্মানে আমি এখন বঞ্চিত কাউন্সিলরের তালিকায় রয়েছি। ২০২১-২২ আর্থিক বর্ষে সেই তালিকায় আমি ওর নাম দিয়েছি। তালিকা প্রকাশ হলে আশা রাখছি উনি পাবেন। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার কনভেনার তথা পাঁশকুড়ার বিজেপি নেতা প্রতীক পাখিরার দাবি -” এরা যে বেশি টাকা দেবে তাকেই ঘর দেবে। গরিব মানুষ মানে টাকা দিতে পারবে না। যার দোতলা বাড়ি আছে যে ১ লাখ টাকা কাঠমানি দিতে পারবে তাকেই দেবে বাড়ি। এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার। পুরো দলটাই কাট মানির উপরে দাঁড়িয়ে আছে।” যদিও বিজেপির কটাক্ষকে মানতে নারাজ শাসকদল। পাঁশকুড়া পুরসভার পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা নন্দ মিশ্র বলেন-” পাঁশকুড়া পুরসভায় আমরা কখনও কোন দলবাজি করিনি। এক সঙ্গে তো সব ঘরের কৌটা পাওয়া যায় না। বিষয়টি শুনলাম নিশ্চিত খোঁজ খবর নেব। বিজেপি দলটাই কাটমানিতে চলে তৃণমূল কাটমানিতে চলেনা ৷