ফিচাররাজ্য

বঞ্চিত সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের কর্মীরা

এনএফবি, কলকাতাঃ

সাগরদীঘি নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের ভোট থেকে বঞ্চিত হয়ে পুনরায় সংখ্যালঘু দপ্তরকে নিজের হাতে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই আইটি পার্সোনাল, ব্লক লেভেল ফেসিলেটর-সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু দপ্তরের কর্মীদের ৬০ বছরের স্থায়ীকরণ করে জনগণের কাছে মানবিক বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।

জানা গেছে, এতে একদল উপকৃত হলেও একই দপ্তরের অধীনে থাকা সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্তনিগমের কর্মীদের কোনরকম স্থায়ীকরণ বা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী প্রথম বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১২ সাল থেকে এডুকেশন সুপারভাইজার নিয়োগ শুরু হয়। বর্তমানে ৪০ জন এডুকেশন সুপারভাইজার সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু দপ্তরের জেলা অফিসে ও কিছু কিছু সাব ডিভিশন অফিসে কর্মরত। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন নিঃস্ব সংখ্যালঘু মহিলাদের পুনর্বাসন প্রকল্প, পানীয় জল পৌঁছানো, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, অ্যাডিশনাল ক্লাসরুম, রাস্তাঘাট, সমাধিস্থলের পাঁচিল নির্মাণ সংক্রান্ত কাজকর্ম দেখাশোনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। জানা গেছে, ২০১৯ সালে এই দপ্তরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ শুরু হয় । ২০২২ সালে যেটি ভারত সরকারের স্কচ পুরস্কারের গোল্ড ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয়েছে। কিন্তু তারপরেও খুবই অল্প পরিমাণ টাকায় তাদেরকে কাজ করতে হচ্ছে। শনি-রবি সহ ছুটির দিনও তাদের কাজ করতে হয় এবং দুয়ারে সরকারের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা প্রদানের জন্য তাদের অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হয়। তাদের স্থায়ীকরণ ও বেতন বৃদ্ধি-সহ অনান্য সুবিধার জন্য বারবার দপ্তরে চিঠি করা সত্ত্বেও কোন পরিবর্তন হয়নি।

সংখ্যালঘু দপ্তরের মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর কাছেও তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়। তিনি তখন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে দেখবেন বলে আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা হয়নি বলেই জানা গেছে।

এই বিষয়ে এডুকেশন সুপারভাইজার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মোঃ ইমরান আলী জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে নিজেদের অসুবিধা ও দাবিদাওয়ার কথা জানানোর পরেও তারা বরাবরই বঞ্চিত হয়েছেন।পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলা সংখ্যালঘু দপ্তর এবং মহাকুমা অফিসে নিযুক্ত মোট ৪০ জন এডুকেশন সুপারভাইজার থাকার কারণকেই তিনি এই বঞ্চনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের বর্তমান চেয়ারম্যান ডঃ পি বি সেলিমের কাছে নিজেদের অভিযোগ লিখিত আকারে জানানোর কথাও তিনি জানান। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরেও এই বিষয়ে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তাতেও কাজ না হলে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবার কথা জানিয়েছেন তিনি।