এনএফবি,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
ইতিহাস বিজড়িত ভবন থাকবে কার দখলে! তা নিয়েই বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকল মেদিনীপুর। ঋষি রাজনারায়ণ বসুর স্মৃতিবিজড়িত ‘হেড মাস্টার কোয়ার্টার’ এর দখল ঘিরেই ধুন্ধুমার। মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে হাতাহাতি, চরম উত্তেজনা ছড়ালো মেদিনীপুর শহরে। জানা গিয়েছে মেদিনীপুর কলিজিয়েট স্কুল ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা ঋষি রাজনারায়ণ বসুর স্মৃতিবিজড়িত কোয়ার্টারের দখল থাকবে কার হাতে এই নিয়েই বেনজির গন্ডগোলের সাক্ষী থাকল মেদিনীপুর শহর। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও মেদিনীপুর কলিজিয়েট স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে। উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরেই এই জমি নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে কলেজ ও স্কুল কর্তৃপক্ষ। ইতিপূর্বে বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। মিলেছে আদালতের রায়। সূত্রের খবর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ঐতিহাসিক এই জায়গার দখল নিতে পারবে না কোনো পক্ষই। প্রয়োজনে ভবনের মেরামত করতে হবে প্রশাসনিক সাহায্য নিয়ে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালে হঠাতই কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে খোলা হয় বিতর্কিত এই ভবনটির তালা। সেখান থেকেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। জানা গিয়েছে স্কুলের তরফে প্রথমে কলেজের কাছে জানতে চাওয়া হয় কেন খোলা হলো এই তালাটি। সে সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করে তাদের হাতে আছে উপযুক্ত অনুমোদন। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি অনুমোদনপত্র দেখতে চাইলেও সেই অনুমোদনপত্র দেখাতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর পরেই মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্ররা নেমে পড়ে রাস্তায়। মেদিনীপুর শহরের গোলকুয়াচক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে ছাত্ররা। ঠিক সেই সময় মেদিনীপুর কলেজের একদল ছাত্র ও শিক্ষক ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। দুপক্ষ জড়ায় বচসায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তবে এর মধ্যে হাতাহাতিতে জড়ায় কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্ররা। ঘটনায় অল্পবিস্তর আহত হয় আটজন ছাত্র। পরবর্তীকালে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
অন্যদিকে মেদিনীপুর কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, মঙ্গলবার সকালে কলেজের এনএসএস ইউনিট স্বচ্ছ ভারত অভিযানে অংশ নিয়ে ভবনটি পরিষ্কার করতে যায়। সে সময় তাদের বাধা দেয় মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক। সবমিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায় মেদিনীপুর শহরে। সূত্রের খবর দু পক্ষকে বসিয়ে মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।