অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
খারাপ খবর কলকাতার ফুটবল প্রেমীদের জন্য ।যুবভারতী পেল না অনূর্ধ্ব ১৭ মহিলা বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচ। এদিন ফিফার তরফে জানানো হয়েছে ভুবনেশ্বর, গোয়া এবং মুম্বইয়ে হবে এ বারের অনূর্ধ্ব ১৭ মহিলা বিশ্বকাপের ম্যাচ।
ছেলেদের অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ২০১৭ সালে আয়োজন করেছিল ভারত। সেই সময় বেশ কিছু ম্যাচ হয় যুবভারতীতে। প্রতিযোগিতার ফাইনালও হয়েছিল কলকাতায়। সেরা ভেন্যু ছিল কলকাতা। ফিফা সভাপতি জিয়ানি ইনফ্যান্টাইনিও প্রশংসা করে যান কলকাতার । তবুও কেন কলকাতা বঞ্চিত, উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত ২০২০ সালে মহিলাদের যুব বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার জন্য সেই সময় অনূর্ধ্ব ১৭ মহিলা বিশ্বকাপ আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। সেই বিশ্বকাপই হবে এই বছর ভারতেই । মোট ১৬টি দল খেলবে এই প্রতিযোগিতায়। আয়োজক দেশ হিসেবে ভারত ছাড়াও ইতিমধ্যেই যোগ্যতা অর্জন করেছে ব্রাজিল, চিলি, চিন, কলোম্বিয়া, জাপান এবং নিউজিল্যান্ড। যদিও বাকি দলগুলির যোগ্যতা অর্জন এখনও বাকি রয়েছে। ফিফার মহিলা ফুটবল প্রধান সারাই বেয়ারমান এক বিবৃতি তে বলেন, “বিশ্বে এখনও যোগ্যতা অর্জন পর্ব চলছে, তার মধ্যেই আমরা জানাচ্ছি কবে ড্র হবে এবং ভারতের কোন তিনটি শহরে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি খেলা হবে।” অক্টোবরে ভারতের পাঁচটি শহরে এই বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার জন্য এতগুলো জায়গায় সেটা করা সম্ভব হচ্ছে না ।
ফেডারেশন সভাপতি প্রফুল পটেল বলেন, “গোয়া এবং মুম্বইয়ের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভুবনেশ্বর আগামী দিনে ক্রীড়াক্ষেত্র হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে। তরুণদের এই প্রতিযোগিতা আয়োজন হওয়ায় সেটা আরও বাড়বে বলেই মনে হয়।” তবে দেশের সেরা মাঠ যুবভারতী নয় কেন! সেই প্রশ্ন তিনি দিতে পারেননি। বাংলার মক্কায় ফিফার টুর্নামেন্ট হবে না সেটা বিশ্বাস করতেই পাচ্ছে না রাজ্য সরকার ও আইএফএ কর্তারা। আইএফএ চেয়ারম্যান তথা ফেডারেশন সহ সভাপতি সুব্রত দত্তর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এটা কিন্তু ফেডারেশনের কিছু করার নেই। আমরাও বাদ পড়েছি বাদ পড়েছে আহমেদাবাদও । ফিফা জানে বাংলার ফুটবল আবেগ। ওদের মনে হচ্ছে যে জায়গা গুলো নিরাপদ সেই জায়গা গুলোতে ম্যাচ দিয়েছে ।” আইএফএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় জানান,”যুবভারতীর মত একটা মাঠ গোটা দেশে আছে! অথচ আমাদের এখানে ম্যাচ হবে না! আমাদের ফুটবল পরিকল্পনায় ছিল মহিলা যুব বিশ্বকাপ । এতো সুন্দর ভাবে আমরা পুরুষদের ফুটবল যুব বিশ্বকাপ আয়োজন করলাম । কলকাতার ফুটবল সমর্থকরা বঞ্চিত থেকে গেলো যেটা মেনে নেওয়া যায় না । তবে ফিফার আদেশ সবাইকেই মেনে চলতে হবে। বাংলা ফুটবলও তার বাইরে না । প্রসঙ্গত ছয় বছর আগে অনূর্ধ্ব ১৭ মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে যুবভারতী নব বধূর মত সেজে ফিফার প্রশংসা আদায় করে নেয়। ফাইনালে স্পেনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।”