এনএফবি,স্পোর্টস ডেস্কঃ
বুধবার যুবভারতীতে ইন্টার জোনাল সেমিফাইনাল ম্যাচের ফলাফল কী হবে তখন কেউ জানে না। কিন্তু মাঠে দেখা গেলো মোহনবাগান সমর্থকদের পুরোনো সেই আবেগ। এদিন রিমুভ এটিকে পোস্টার তো ছিলই। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায়তে যে ছবি বেশি করে ভাইরাল হলো তা হলো কালো হরফে লেখা ব্যানার যেখানে লেখা যদি মরেও যাই বুক চিরে লিখে দিও এরপর মোহনবাগান সবুজ অক্ষরে লেখা যা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়। আর যা ভিআইপি বক্সে বসে দেখলেন স্বয়ং সঞ্জীব গোয়েঙ্কা।
যদিও সূত্রের খবর এটিকে নাম তোলা নিয়ে যতই আন্দোলন হোক সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়াক এখনই এটিকে সরছে না মোহনবাগানের আগে থেকে।এদিন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা ছাড়াও মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত ফুটবল সচিব স্বপন বন্দোপাধ্যায়। প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু আসেন ম্যাচ দেখতে আর এসেছিলেন মোহনবাগানের ঘরের ছেলে হোসে রামিনেজ ব্যারেটো। তবে সবাই সবুজ মেরুন ব্রিগেডের ৩-১ গোলে হার দেখে হতাশ। ম্যাচ শেষে হতাশা প্রকাশ করলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। তার কথায়, স্টাইকার না খেলাটা বড় ভুল হয়ে গেলো। দিমিত্রি খেললে ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে তবে এটা খুব দামি ভুল হয়ে গেলো আমাদের কাছে।’এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে এই দিন ৪-৩-৩ ছন্দে খেলা শুরু করে মোহনবাগান। ম্যাচের শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে দেখা যায় কোচ ফেরান্দোর ছাত্রদের। ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিট নিজেদের পায়ে বল রেখে একাধিক পাস খেলছিলেন প্রীতম কোটাল’রা। ১৬ মিনিটে একটি আক্রমণ করে সবুজ-মেরুন দল । কিন্তু গোল মারতে পারেনি তারা। প্রতি আক্রমণে সুযোগ পেয়ে যায় কুয়ালা লামপুর সিটি। তবে গোলের একবারে সামনে থেকে বলটিকে ক্লিয়ার করে দেন শুভাশীষ বোস। ২৭ মিনিট নাগাদ বক্সের ভিতর থেকে একটি ব্যাকভলি মারেন লিস্টন কোলাসো কিন্তু বলটিকে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। ৩৫ মিনিট নাগাদ জনি কাউকোর সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া ফের একটি আক্রমণ করেন লিস্টন। গোলশূন্য ফলাফল নিয়েই বিরতিতে ফিরতে হয় তাদের। দ্বিতীয়ার্ধেও সঙ্গবদ্ধ ফুটবল খেলেন কাউকো’রা । কিন্তু ৬০ মিনিট নাগাদ এক গোলে পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান (০-১)। বক্সের সামনে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে বলটিকে জালে প্রবেশ করান প্রতিপক্ষের অধিনায়ক পাওলো জসু। ৬৯ মিনিট নাগাদ আক্রমণ ভাগের শক্তি বাড়াতে প্রীতমকে তুলে আশীষ রাই’কে মাঠে নামান মোহনবাগান কোচ। ৭২ মিনিট নাগাদ মাঝমাঠে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ফ্লোরেন্টিন পোগবা। ৭৬ মিনিট নাগাদ ব্রেন্ডন হামিলের বদলে মাঠে নামেন মহম্মদ ফারদিন আলি। ৮৫ মিনিট নাগাদ দীপক ট্যাংগ্রির বদলে মাঠে নামেন কিয়ান নাসিরি। ৮৯ মিনিট নাগাদ অঘটন ঘটান ফারদিন। বক্সের ভিতর থেকে ডান পায়ের শট মেরে গোল করেন তিনি। এই সুবাদে ম্যাচের ফলাফল হয় ১-১ গোলের। নির্ধারিত সময়ের পর সংযুক্ত সময়ে ফের এক গোলে পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান (২-১)। সেট পিস থেকে হেডে গোল করেন ফাকরুল আইমান। এরপর ফের এক হজম করে সবুজ-মেরুন দল। ডিফেন্সে শুভাশীষের ভুলে বল পেয়ে ডান পায়ে শট মেরে বলটিকে জালে প্রবেশ করান রোমেল মোড়ালেস। এই সুবাদে ৩-১ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ে মোহনবাগান।