জেলা

আইনের ফাঁক গলে নয়া কৌশল! বিভ্রান্ত যাত্রীরা

এনএফবি, দক্ষিন দিনাজপুরঃ

সরকারি বাসের অনুকরনে রঙ ও নামের ধরণ ব্যবহার করে বেসরকারি বাস চালাচ্ছেন বালুরঘাটের কিছু বাস মালিক। বিভ্রান্ত যাত্রীরা। যাত্রী টানতেই এই কৌশল প্রয়োগ করা হচ্ছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার একধিক বেসরকারি বাসে। ভুল বশত ওই বাসে চেপে হয়রানী যাত্রীদের।

দূর থেকে তো বটেই, কাছাকাছি থাকা ওই বেসরকারী বাসগুলিকে ভালভাবে লক্ষ্য না করলেও খেয়ে যেতে হবে ধোঁকা। কেননা, দীর্ঘদিন ধরে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার(এনবিএসটিসি) বাসের রঙ-এর হুবহু নকল করে বেসরকারী বাস গুলিতেও নীল সাদা করছেন কিছু মালিক।

এমনকি বাসের নামের ক্ষেত্রেও প্রথমে থাকছে সংক্ষিপ্ত এনবি কথাটি। এরপর তার সঙ্গে এসটি, জিটি, সিটি ইত্যাদি। এতেই হয়ে যাচ্ছে এনবিজিটি, এনবিএসটি, এনবিসিটি ইত্যাদি। এককথায়, আইনি ফাঁক রেখে সরকারী গাড়ির রঙ, নাম, লোগো ইত্যাদি অনুকরন করা হচ্ছে। কিছু যাত্রীর তোলা অভিযোগে এর আগে ধরপাকড় শুরু হয়েছিল বটে, কিন্ত ফের এই বাসগুলি দাপিয়ে বেরাছে রাস্তায় রাস্তায়।

সরকারী গাড়ি ভেবে হাত দেখিয়ে উঠে পরছেন যাত্রীরা। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভুলটা বুঝতে পারছেন তারা। এইরকম ভুলের শিকার যাত্রী লালা বাগচি, বিপ্লব মন্ডল জানান, মালদা যাবেন বলে সরকারি বাসের জন্য বালুরঘাট মঙ্গলপুর এলাকায় অপেক্ষা করছিলেন তারা। কম স্টপেজ ও দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো ছিল তাদের উদ্দেশ্য। এই অবস্থায় বালুরঘাট স্ট্যান্ডের দিক থেকে আসা একটি বাসে উঠে পরেন তারা। ভেবেছিলেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাস। কিন্তু কিছু দূর যাবার পরেই তাদের ভুল ভাঙে। মানুষকে বোকা বানাতে বেসরকারি বাসগুলোতে সরকারী বাসের অনুকরণ বন্ধ হোক বলে দাবি তাদের।

বালুরঘাট মোটর অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা বালুরঘাটের বাস মালিক অমিতাভ ঘোষ বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বাস চালাতে সমস্যার মুখে পরছেন মালিকরা। এরমধ্যে যদি যাত্রী কম হয় তবে তো রাস্তায় বাস নামাতে পারবেন না তারা। সেকারণে একটু কৌশল ব্যবহার করছেন কিছু মালিক। এখানে নয়, মানুষ সবখানেই বিভ্রান্ত। এক্ষেত্রে আইনি ফাঁক রয়েছে। বাস শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে কেউ কেউ এমনটা করছে।