এনএফবি, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
মেয়াদ শেষের বছর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পুরসভাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নতুন করে আরও উন্নয়নের বন্যা বইতে চলেছে পুরসভা এলাকায়।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পুরসভার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড। দীর্ঘ বাম শাসনের পর নিতান্তই ছোট্ট গ্রাম থেকে ১৪ টি ওয়ার্ড নিয়ে বুনিয়াদপুরকে পুরসভায় রূপান্তরিত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরপতি অখিল চন্দ্র বর্মন এবং উপ পুরপতি জয়ন্ত কুন্ডুর ঐকান্তিক কর্মদক্ষতার মধ্য দিয়ে দিনের পর দিন ছোট্ট শহরটি শহরে পরিণত হতে থাকে। যদিও বেশকিছু প্রকল্পের কাজ অর্থের অভাবে সম্পন্ন হয়ে ওঠেনি বিগত পাঁচ বছরে। এরই মাঝে বুনিয়াদপুর শহরকে উন্নয়নে আরোও ঢেলে সাজাতে আবারো উদ্যোগ নিল রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যায় ২০২২-২০২৩ অর্ধবর্ষে প্রথম পুর বোর্ডের মেয়াদের শেষ লগ্নে ৫৫ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পে। পুরসভার সূত্রে জানা যায়, শহর জুড়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে নতুন করে পথবাতির জন্য দেড় কোটি, সাতটি রাস্তার জন্য দেড় কোটি, পাঁচটি নতুন ইট সোলিং রাস্তার জন্য ৫০ লক্ষ, পাশাপাশি বুনিয়াদপুর শহরের পুরনো বাস স্ট্যান্ডে নতুন মার্কেট কমপ্লেক্স এবং সরকারি উৎসব ভবন তৈরিতে ২ কোটি, ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। জলস্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের ২৫ কোটি টাকায় শহরজুড়ে একাধিক নিকাশি ব্যবস্থা, ২ কোটি টাকায় ৪টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, নোংরা আবর্জনা ফেলার ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে শুরু করে গ্রীন সিটি প্রকল্পের মধ্য দিয়ে সমগ্র শহরকে সাজিয়ে তোলার মতো একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে চলেছে বুনিয়াদপুর শহরে। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পর একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কর্মসংস্থানেরও পথ খুলবে এমনটাই আশাবাদী এলাকার মানুষজন।
উপ-পুর প্রতি জয়ন্ত কুন্ডু বলেন, “দীর্ঘ করোনা আবহের পর মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় ৫৫ কোটি টাকার পুর বাজেট পাশ হয়েছে যার ফলে শহরের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। আমরা অত্যন্ত খুশি।” বুনিয়াদপুরের বিশিষ্ট নাগরিক তথা বাচিক শিল্পী মনীষ ভট্টাচার্য বলেন, “৫৫ কোটি টাকা শহরের উন্নতি প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে। যা অত্যন্ত খুশির খবর আমরা প্রতিটি শহরবাসী অত্যন্ত খুশি। শহরের উন্নতি হলে আমাদের আগামী প্রজন্ম আরও আলোর মুখ দেখবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা শহরবাসী স্বাগত জানাই।”
আরও পড়ুনঃ নির্যাতিতা ছাত্রীর মৃত্যুতে গর্জে উঠলো ডান – বাম উভয় সংগঠনই