অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে শনিবার মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও ভেনিজুয়েলা। খেলার ফলাফল হয় ৩-০। আর্জেন্টিনার হয়ে একটি করে গোল করেন নিকোলাস গঞ্জালেজ, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া ও লিওনেল মেসি। এদিনের শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন মেসি। ড্রিবলিং আর পাস দেওয়ার ধরন দেখে পুরানো মেসিকে মনে করিয়ে দিচ্ছিল প্রতিটি মিনিট।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে দেখা যায় আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের। শুধুমাত্র ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলের দেখা পাচ্ছিল না তাঁরা। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে অবশেষে গোল করেন গঞ্জালেজ। রদ্রিগো ডি পলের নিচু ক্রস প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে দূরের পোস্টে থাকা গঞ্জালেসকে খুঁজে নেয়। ছয় গজ বক্সে দৌড়ে এসে আলতো টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন গঞ্জালেস। প্রথমার্ধের শেষে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে লিওনেল স্কালোনির ছেলেরা।
দ্বিতীয়ার্ধেও একইভাবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে আর্জেন্টিনা। এর মধ্যে একা মেসিই দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিলেন। তবে কখনও সতীর্থের ভুলে, আবার কখনও নিজের ভুলে গোল পাচ্ছিলেন না তিনি। এরপর ম্যাচের ৭০ মিনিটে ম্যাক অ্যালিস্টারের পরিবর্তে ডি মারিয়াকে নামান স্কালোনি। ডি মারিয়া মাঠে আসায় আক্রমণে আরও চাপ বাড়ায় আর্জেন্টিনা। ফলস্বরুপ ম্যাচের ৭৯ মিনিটে ডি পলের পাস থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডি মারিয়া। এরপর ম্যাচের ৮২ মিনিটে ডি মারিয়ার বাড়ানো বল বুক দিয়ে নামিয়ে দারুণ এক শটে গোল করে ভেনিজুয়েলার কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি। আর্জেন্টিনার জার্সিতে এটি তাঁর ৮১তম গোল। নির্ধারিত সময়ের শেষে খেলার ফলাফল হয় ৩-০।
আগামী ১ জুন ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে গতবারের কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি। গত বছর ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লিওলেন মেসির আর্জেন্টিনা। ১৯৯৩ সালের পর দীর্ঘ ২৮ বছরের ট্রফির খরা কাটিয়ে ট্রফি জেতে নীল সাদা ব্রিগেড। অপরদিকে ইউরো কাপের ফাইনালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইতালি। তারপরই ঘোষণা হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও ইতালি এই দুই চ্যাম্পিয়ন দেশে মুখোমুখি হবে একটি ম্যাচে। আমেরিকার ফুটবল নিয়ামক সংস্থা কনমেবল এবং ইউরোপের নিয়ামক সংস্থা উয়েফার মধ্যে এই নিয়ে বেশ কিছু সময় কথাবার্তার পর এই সিদ্ধান্ত পাকা হয়।