ক্রীড়া

অবসর ২০০৭ বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়কের

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ ওভারে যোগীন্দর শর্মার বলে মিসবা উল হকের ক্যাচ শ্রীসন্থের হাতে। সেই ছবি এখনও সকলের মনে টাটকা হয়েই রয়েছে। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত। সেই সাফল্যেরই অন্যতম নায়ক যোগীন্দর শর্মা। অবশেষে দীর্ঘ ক্রিকেট কেরিয়ারে এবার ইতি টানলেন তিনি।

শুক্রবারই সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী তারকা ক্রিকেটার যোগীন্দর শর্মা। এক আবেগতাড়িত বার্তা দিয়েই কেরিয়ারে ইতি টানলেন তিনি।

২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই ওভার এখনও পর্যন্ত সকলের স্মৃতিতেই টাটকা রয়েছে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। সেই মুহূর্তেই যোগীন্দর শর্মাকে দিয়ে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ক্রিজে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন মিসবা উল হক। বোলিংয়ের শুরুটা ভালভাবে না হলেও, সেই যোগীন্দর শর্মার বলেই ক্যাচ হয়ে মাঠে ছেড়েছিলেন মিসবা উল হক। সেইসঙ্গেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মুকুট ভারতীয় ক্রিকেটারদের মাথায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত পারর্ম্যান্স দেখিয়েছিলেন তিনি। এরপর ফাইনালেও তাঁকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেখানেই যোগীন্দর শর্মা হতাশ করেননি মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। একইসঙ্গে ভারতের বিশ্ব জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। যদিও ভারতীয় দলের হয়ে বেশী ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি যোগীন্দর শর্মার। শুক্রবারই সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন তিনি।

এই প্রসঙ্গেই যোগীন্দর শর্মা জানিয়েছেন, “আজ সমস্তকিছুর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণার সিদ্ধান্ত আমার। ২০০২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ক্রিকেটের মঞ্চে কাটানো এইকটা বছরইন আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। সেই সময়ই ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছি আমি। বিসিসিআই, হরিয়ানা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এবং চেন্নাই সুপার কিংসকে আমায় সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ আমি।”

২০০১-২০০২ মরসুমে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল যোগীন্দর শর্মা। ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্রিকেটের বাইশগজে দেখা গিয়েছে যোগীন্দর শর্মাকে। শুধু তাই নয় তাঁর ২০০৮ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে চেন্নাই সুপার কিংসে খেলেছেন তিনি। সেখানেই ১৫টি ম্যাচে ১৪টি উইকেটও রয়েছে যোগীন্দর শর্মার। নতুন বছরেই প্যাড গ্লাভস তুলে রাখার সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেললেন তিনি।